স্থানীয় সূত্রে খবর, গজলডোবার ভোরের আলো থানার অন্তর্গত টাকিমারি এলাকার বাসিন্দা পরেশ দাস। পেশায় তিনি কৃষক। ততক্ষণে সন্ধেয় নেমেছে। মাঠ থেকে বাড়ি ফিরে পরেশ দেখেন, বাড়ি লাগোয়া গোয়াল ঘরে বিদ্যুতে তার ছিঁড়ে পড়েছে অবং সেই তারে বিদ্য়ুত্স্পৃষ্ট হয়েছে গরুটিও। এরপর যখন পোষ্য গবাদি পশু যখন বাঁচাতে যান, তখন তিনি নিজেও বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হন।
এদিকে স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হন পরেশের স্ত্রী দীপালী। বাবা-মাকে বাঁচাতে গেলে একই পরিণতি হয় ছেলে মিঠুনেরও। শেষে দাদু, দিদা ও মামাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন পরেশের ছোট নাতি বছর তিনেকে সুমন দাস। বিদ্যুত্পৃষ্ট হয়ে সে-ও প্রাণ হারায়। স্থানীয় বাসিন্দা বিক্রম দাস বলেন , 'খুবই মর্মান্তি ঘটনা। একই বাড়ির চারজনের মৃত্যু। গবাদি পশুকে বাঁচাতে গিয়েই এক এক করে চারজনই বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়েছে। সকলকেই মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে'।"