শুক্রবার উত্তর সিকিমের ছাঙ্গুতে তুষারপাত হয়। এটিই মরসুমের প্রথম তুষারপাত বলে জানা যাচ্ছে। দুপুর নাগাদ একটু-একটু করে তুষারপাত শুরু হয় সেখানে। বেশ খানিক্ষণ চলার পর তা বন্ধ হয়। শুক্রবার তুষারপাত হতে পারে বলে অবশ্য পূর্বাভাস দিয়েছিলই আবহাওয়া দফতর।
এই মুহূর্তে সারা বাংলা, গোটা দক্ষিণবঙ্গ ভাসছে। বিভিন্ন ড্যাম থেকে জল ছাড়ায় জেলাগুলির অধিকাংশ জলের তলায়। রাজ্য জুড়ে প্রায় বন্যা পরিস্থিতি। নানা ভাবে তা মোকাবিলা করার কাজ চলছে। বন্যার সঙ্গেই রয়েছে ঘোর বর্ষা। টানা তিনদিনের বৃষ্টিতে কাহিল গোটা বাংলা। আবার বর্ষার মেঘ সরলেই ঘোর গরম, আর্দ্রতায় হাঁসফাঁস অবস্থা সকলের। এই পরিস্থিতিতে তুষারপাতের খবর বাঙালি কাছে যেন প্রাণের আরাম আত্মার শান্তি।
সিকিম আবহাওয়া দফতরের ডিরেক্টর ডক্টর গোপীনাথ রাহা জানান, 'তুষারপাতের পূর্বাভাস ছিল। সেই অনুযায়ী আজ, শুক্রবার উত্তর সিকিম-সহ সংলগ্ন এলাকায় তুষারপাত হয়েছে। অন্য দিকে, আগামীকাল, শনিবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ খানিকটা কমে আসবে। তবে পাহাড়ে বিক্ষিপ্তভাবে বেশ কয়েক জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছেই।'
তবে, তা সত্ত্বেও গোটা সিকিম এই তুারপাতকে স্বাগত জানিয়েছে। ছাঙ্গুকে দেখলে যেন চোখ জুড়িয়ে যাচ্ছে। সাদা বরফের চাদরে ঢাকা ছাঙ্গু ও চোপতা উপত্যকা। আগামীকাল, শনিবার বিশ্ব পর্যটন দিবস। তার আগে তুষারপাত খুবই উল্লাসের কারণ পর্যটকদের কাছে।