আজ, শুক্রবার হাইকোর্টে মামলাটির শুনানি হয় বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। শুনানিতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, 'এই নিষেধাজ্ঞা নতুন কিছু নয়, ২০২৩ সাল থেকে কার্যকর আছে। প্রতি ৬ মাস পর পর রিনিউ করা হয়। এটা শুধু কেসি দাস থেকে ভিক্টোরিয়া হাউস পর্যন্ত বলবত্ আছে'। আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের পাল্টা সওয়াল, 'রাজ্যের এই বক্তব্য সঠিক নয়'।
বিচারপতি বলেন, 'এই এলাকার পুজোগুলি কী হবে? সেগুলি অনুমতি তো বাতিল করতে হবে'। রাজ্যের আইনজীবী সওয়াল, 'পুজোর অনুমতি বাতিল করতে হবে না। এই ১৪৪ ধারা শুধুমাত্র ৫০-৬০ মিটার এলাকার জন্য'। এরপর কতদুর পর্যন্ত ১৪৪ ধারা? রাজ্যকে সোমবার তা জানানোর নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
ঘটনাটি ঠিক কী? পুজোর আর ২ সপ্তাহও বাকি নেই। শহরে যখন উত্সবের প্রস্তুতি চলছে, তখন শহরে একাংশে বড় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুলিস! কতদিন? আগামী ২ মাস। খোদ পুলিস কমিশনারের নির্দেশ, কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় কলকাতা পুলিশের থানা এলাকায় ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ জনের বেশি একত্রে চলাফেরা, দাড়িয়ে থাকা, জমায়েত করা যাবে না।
নির্দেশিকায় উল্লেখ, বৌবাজার থানা, হেয়ার স্ট্রিট থানা এবং ধর্মতলা এলাকায় কে সি দাস ক্রসিং থেকে ভিক্টোরিয়া হাউসের দিকের এলাকায় পাঁচ থেকে ছয় জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না। শুধু তাই নয়, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যদি কারও হাতে যদি লাঠি বা এই ধরনের অস্ত্র দেখা যায়, সেক্ষেত্রে কড়া ব্য়বস্থা নেওয়া হবে। এই নির্দেশিকা চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে হাইকোর্টে।