সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর কাণ্ড শুধুমাত্র সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দেয়নি। বিভিন্ন হাসপাতালে ‘হুমকি সংস্কৃতি’র বিষয়টি উঠে এসেছে আলোচনার কেন্দ্রে। জুনিয়র চিকিৎসকরাই এনিয়ে সরব হয়েছেন। মেডিক্যাল কলেজগুলোয় রাজনীতির সংস্পর্শে থাকা ডাক্তারদের বিরুদ্ধে অকারণে নানা বিষয়ে জুনিয়রদের ‘থ্রেট’ দেওয়ার অভিযোগ সামনে এসেছে ভুরি ভুরি। তার চেয়ে দুই চিকিৎসককে সাসপেন্ডও করেছে স্বাস্থ্যভবন। তবে শুধু কি সরকারি হাসপাতাল? অনেক সময়ে বেসরকারি হাসপাতালেও কার্যত এই ‘থ্রেট কালচার’ চোখে পড়ে। যার শিকার হতে হয় রোগী ও রোগীর পরিবারগুলিকে। সেসবের কেন প্রতিবাদ হয় না? আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের উদ্দেশে এবার এই প্রশ্ন তুলল তৃণমূল।
শুক্রবার এসএসকেএমের অডিটোরিয়ামে সমাজের সর্বস্তরের মানুষজনকে নিয়ে গণ কনভেনশনের আয়োজন করেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। আর জি করের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তা নিয়ে কার কী মতামত, এতদিনের আন্দোলনে জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে থাকা মানুষজন কী মনে করছেন, সেসব জানতে এই গন কনভেনশনের আয়োজন। এদিন বক্তাদের ভাষণেও উঠে এসেছে এই থ্রেট কালচারের কথা। সিনিয়র চিকিৎসকরা পর্যন্ত এই বিষয়টিকে ‘ভয়াবহ’ বলে চিহ্নিত করেছেন। এর অবসান ঘটা দরকার, তার পক্ষেও সওয়াল করা হয়েছে।
এসব নিয়ে সাংবাদিকরা তৃণমূলের মিডিয়া কমিটির সদস্য কুণাল ঘোষকে প্রশ্ন করলে তিনি প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ”থ্রেট কালচার তো সর্বত্রই। শুধু সরকারি হাসপাতালের কথা কেন বলা হচ্ছে? এই যে বেসরকারি হাসপাতালে কোনও রোগী ভর্তি হলে, তাঁর পরীক্ষা থেকে ওষুধ কেনা, অপারেশন ? সব কিছুর জন্য নির্দিষ্ট কোনও সংস্থার কথা বলে দেওয়া হয়। সেখান থেকেই তা করাতে বাধ্য করানো হয়। এটা তো রোগীর পরিবারের পক্ষে রীতিমতো থ্রেট! এসব নিয়ে গণ কনভেনশন করুন না ডাক্তাররা। শুধু স্বাস্থ্যভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখালে কী করে হবে?”