এই সময়, শিলিগুড়ি: চাকরিপ্রার্থী বিহারের দুই যুবককে হেনস্থার অভিযোগে বাংলা পক্ষের আরও এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করল শিলিগুড়ি পুলিশ। ধৃতের নাম গিরিধারী রায়। বৃহস্পতিবারই বাংলা পক্ষের নেতৃস্থানীয় রজত ভট্টাচার্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার দু’জনকেই শিলিগুড়ি আদালতে হাজির করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।বিহারের ওই দুই যুবক নিজেদের বাংলার বাসিন্দা দাবি করে ভুয়ো শংসাপত্র জমা দিয়ে শিলিগুড়ির অদূরে রানিডাঙায় আধা সামরিক বাহিনীর নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় পরে ধৃত দু’জন বিহারের বাসিন্দা ওই দুই যুবককে হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ। ভাইরাল ভিডিয়োয় (সত্যতা যাচাই করেনি ‘এই সময়’) দেখা যাচ্ছে, অভিযুক্তরা একটি ঘরে ঢুকে বিছানায় শুয়ে থাকা বিহারের ওই দুই যুবককে তুলে জেরা করার পরে নথি দেখতে চান। কান ধরে ওঠবসও করানো হয়। একজনকে ধাক্কা মেরে ঘরের দেওয়ালে ঠেলে ফেলা হয়।
তবে বিহারের ওই দুই যুবকের ঘনিষ্ঠরা শিলিগুড়ি থানায় অভিযোগ জানাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রজত ভট্টাচার্যকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার তাঁকে জেরা করে আরও একজনকে ধরা হয়। অভিযুক্ত দু’জন হেনস্থার সময়ে নিজেদের পুলিশের লোক বলে পরিচয় দেন বলে অভিযোগ।
ঘটনাটি নিয়ে জলঘোলা শুরু হয় একটি ভাইরাল ভিডিয়োকে কেন্দ্র করে। ওই ভিডিয়ো দেখে নিজেদের এক্স হ্যন্ডেলে পোস্ট করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং এবং চিরাগ পাশোয়ান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনায় নেমে পড়েন। কেন্দ্রীয় দুই মন্ত্রীর এ হেন মন্তব্যে শুক্রবার পাল্টা নিন্দা করেছেন শিলিগুড়ির বিহারী কল্যাণ মঞ্চ।
সংগঠনের সভাপতি অত্রি শর্মা বলেন, ‘৫৬ বছর বাংলায় রয়েছি। কখনও এ রাজ্যে কোনও সমস্যা হয়নি। দু’জন ব্যক্তি নিজেদের পুলিশের লোক বলে পরিচয় দিয়ে ভিন রাজ্যের দুই যুবককে হেনস্থা করার পরেই পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে। ফলে দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাংলা নিয়ে যে অপপ্রচারে নেমেছেন তাতে লাভ হবে না।’