• দুর্গাপুজোয় কি ১৪৪ ধারা জারি থাকবে?‌ পুজোগুলির কী হবে?‌ রাজ্যকে প্রশ্ন হাইকোর্টে
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • হাতে আর ১২ দিন বাকি। তারপরই রাজ্যজুড়ে পালিত হবে দুর্গোৎসব। বাংলার আপামর জনসাধারণ মেতে উঠবে উৎসবে। এই উৎসবকে সামনে রেখে এখন শহর থেকে গ্রামে সাজসাজ পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এই আবহে দুর্গাপুজোর মুখে কলকাতা পুলিশ কমিশনারের নির্দেশিকায় বিতর্ক দেখা দিয়েছে। নগরপাল মনোজ ভার্মা নিজে স্বাক্ষর করেছেন সেই নির্দেশিকায়। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, কলকাতার নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় দুর্গাপুজোর সময় জমায়েত করা যাবে না। বউবাজার, ধর্মতলা, হেয়ার স্ট্রিট –সহ একাধিক জায়গায় জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আর তা নিয়ে আজ, শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট জানতে চাইল, ‘‌কতদুর পর্যন্ত ১৪৪ ধারা?’‌ রাজ্য়ের কাছে এবার এই তথ্য জানতে চাইল হাইকোর্ট। পরবর্তী শুনানি সোমবার।

    এদিকে এই নির্দেশিকা অনুযায়ী, পাঁচজনের বেশি এক জায়গায় থাকতে পারবেন না। দুর্গাপুজোয় জনস্রোত দেখতে অভ্যস্ত কল্লোলিনী কলকাতা। সেখানে এমন ঘটনা কেমন করে সম্ভব? এই প্রশ্ন তুলে মামলা করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। আর এবার তার জেরে রাজ্য সরকারকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হল উচ্চ ন্যায়ালয়ে। মহানগরীতে জমায়েত নিয়ে কলকাতার পুলিশের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারের কোনও সুযোগ আছে কিনা, সেটা পরবর্তী শুনানিতে জানানোর জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়েছে। এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ধর্মতলা চত্বরে ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত জমায়েত করা যাবে না। পাঁচজনের বেশি একসঙ্গে চলাফেরা, জমায়েত করা যাবে না। ফলে দুর্গাপুজো কীভাবে হবে? প্যান্ডেলে ঘোরাঘুরি কি বন্ধ? এই প্রশ্ন ওঠে।


    অন্যদিকে আজ, শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলার শুনানি হয় বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের এজলাসে। এই শুনানিতে রাজ্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘‌এই নিষেধাজ্ঞা নতুন কিছু নয়। ২০২৩ সাল থেকে তা কার্যকর আছে। প্রতি ৬ মাস পর পর রিনিউ করা হয়। এটা শুধু কেসি দাস থেকে ভিক্টোরিয়া হাউস পর্যন্ত কার্যকর আছে।’‌ আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের পাল্টা সওয়াল, ‘‌রাজ্যের এই বক্তব্য সঠিক নয়।’‌ এই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে জোড়া মামলা। আদালতের মামলা করে সিপিএম এবং জয়েন্ট ডক্টর্স ফোরাম। রাজ্যের বক্তব্য, এবার আগের নির্দেশের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। শুধুমাত্র ওই এলাকার সঙ্গে বেন্টিক স্ট্রিটকে নতুনভাবে যুক্ত করা হয়েছে। এই বিজ্ঞপ্তি কলকাতার সব এলাকার জন্য নয়।

    এছাড়া দু’‌পক্ষের সওয়াল–জবাব মন দিয়ে শোনেন বিচারপতি। তারপরই বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘‌এই এলাকার দুর্গাপুজোগুলি কী হবে? সেগুলি অনুমতি তো বাতিল করতে হবে।’‌ রাজ্যের আইনজীবী সওয়াল, ‘‌দুর্গাপুজোর অনুমতি বাতিল করতে হবে না। এই ১৪৪ ধারা শুধুমাত্র ৫০–৬০ মিটার এলাকার জন্য।’‌ তাহলে কতদুর পর্যন্ত ১৪৪ ধারা? রাজ্যকে সোমবার তা জানানোর নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্যকে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে, এই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করার সুযোগ রয়েছে কিনা সেটা জানাতে হবে মামলার পরবর্তী শুনানিতে। যদি সেটা প্রত্যাহার করা না যায় সেক্ষেত্রে ওই এলাকায় সমস্ত দুর্গাপুজো বন্ধ করতে হবে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)