• দফায় দফায় বৃষ্টিতে নাজেহাল মৃৎশিল্পীরা, ভিড় নেই বহরমপুরের পুজোর বাজারেও
    বর্তমান | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: সকাল থেকে দফায় দফায় বৃষ্টি বহরমপুরে। তারই মধ্যে ছাতা মাথায় দিয়ে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা। বৃষ্টির হাত থেকে প্রতিমাকে রক্ষা করতে বড় গার্ডেন ছাতা কিনে টাঙানো হয়েছে। তাও জলের ছাটে ভিজে যাচ্ছে প্রতিমা। নাজেহাল অবস্থা মৃৎশিল্পীদের। বহরমপুরের ওয়াইএমএ মাঠের পাশে একটি স্টুডিওতে ছাতা মাথায় দিয়ে কাজ করছিলেন শিল্পী রমেন পাল। তিনি বলেন, গত তিনদিন ধরে মাঝেমধ্যেই প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। রোদের দেখা নেই। এখন মাটির কাজ শেষের দিকে। প্রতিমা শুকোনো রীতিমতো চ্যালেঞ্জ। সারাদিন পাখা চালিয়ে প্রতিমা শুকোনো হচ্ছে। হাতে বেশি সময় নেই তাই বৃষ্টি মাথায় ছাতা দিয়েই কাজ করতে হচ্ছে। 


    দফায় দফায় বৃষ্টি থিমের মণ্ডপ তৈরিতেও বাধ সেধেছে। কাদা জলে ভরা রাস্তায় পুজোর কেনাকাটা করতেও বেগ পাচ্ছেন মানুষ। নিম্নচাপের মরশুমে সপ্তাহান্তের বাজার কেমন হয়, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ীরা।  বহরমপুর, নওদা, কান্দি, নবগ্রাম, ভগবানগোলা, সালার, ভরতপুর, বেলডাঙা, হরিহরপাড়া, ডোমকল, রানিনগর, খড়গ্রাম, জলঙ্গি, নবগ্রাম, লালবাগ সর্বত্র এদিন ভালো বৃষ্টি হয়েছে। এ সমস্ত জায়গায় দুই সপ্তাহ আগে থেকে পুজোর বাজার জমে উঠলেও গত দু’দিন বৃষ্টির জেরে বাজারহাটে লোক কম। বহরমপুরে নতুন বাজারে শুক্রবার বিকেলের দিকে অনেক বস্ত্র বিপণিতে ক্রেতার দেখা মেলেনি। 


    তবে শপিংমল ও বড় দোকানগুলিতে কিছু ক্রেতার দেখা মিলেছে। ব্যবসায়ীদের আক্ষেপ, বৃষ্টি মাথায় নিয়ে সাধারণত কেউ পুজোর বাজার করতে আসে না। বৃষ্টির জেরে দুপুর পর্যন্ত পুজোর বাজারে সেভাবে লোক দেখা যায়নি। তবে সন্ধ্যার দিকে বৃষ্টি কিছুটা ধরায় শপিংমল ও বড় দোকানগুলিতে কিছুটা ভিড় হয়। তবে ছোট ব্যবসায়ীদের বিক্রি একেবারেই নেই বলে তাঁরা দাবি করছেন। 


    খাগড়ার নতুন বাজারের বস্ত্র ব্যবসায়ী অভিজিৎ চক্রবর্তী বলেন, পুজোর বাজার ধীরে ধীরে জমছিল। কিন্তু আবহাওয়ার এই অবস্থায় বাজারে লোক নেই। এমন বাজে পুজোর বাজার বহু বছর দেখিনি। এই সপ্তাহে ভেবেছিলাম একটু লোক হবে। কিন্তু যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে, তাতে শহরের বাইরে থেকে কোনও ক্রেতাই বাজারে আসছে না। শনি ও রবিবার ভালো বাজার হবে আশা করেছিলাম। কিন্তু বৃষ্টি থামবে কিনা সেটাই বুঝতে পারছি না।
  • Link to this news (বর্তমান)