নিরাপত্তার খাতিরে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে চালু হল পুলিস ক্যাম্প
বর্তমান | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, মাথাভাঙা: শুক্রবার মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতাল চত্বরে পুলিস ক্যাম্পের দ্বারোদ্ঘাটন করেন কোচবিহারের পুলিস সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য। একইসঙ্গে এদিন মাথাভাঙা থানার দ্বিতলে একটি কনফারেন্স রুমেরও উদ্বোধন করেন এসপি। এখন থেকে থানার যেকোনও প্রশাসনিক বৈঠক করা হবে এই কনফারেন্স রুমে। অপরদিকে, হারিয়ে যাওয়া কিছু মোবাইল ফোন সম্প্রতি উদ্ধার করেছিল পুলিস। এদিনই প্রকৃত মালিকদের হাতে সেসব ফোন তুলে দেওয়া হয়।
মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে অনেকবার আপত্তি জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। কিছুদিন সিভিক ভলান্টিয়ার রাখা হয়েছিল। আর জি করের ঘটনার পর ফের হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সোচ্চার হন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। চুক্তিভিত্তিক কর্মীর বদলে পুলিস নিয়োগের দাবি জানান ডাক্তাররা। এরপর হাসপাতাল চত্বরে স্থায়ী পুলিস ক্যাম্প বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। পুরসভা পুলিস ক্যাম্পের পরিকাঠামো তৈরি করে দেয়। শুক্রবার সেই ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন এসপি।
এসপি বলেন, মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতেই পুলিস ক্যাম্প চালু হল। এখন থেকে সবসময় পুলিস কর্মীরা এই ক্যাম্পে থাকবেন। হাসপাতাল চত্বরের নিরাপত্তার কোনও সমস্যা হলে সেটা দেখবেন পুলিস কর্মীরা।
মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডাঃ মাসুদ হাসান বলেন, হাসপাতালের নিরাপত্তার বিষয়টি জানানো হয়েছিল পুলিস ও প্রশাসনকে। এদিন পুলিস ক্যাম্প চালু হওয়ায় আমরা খুশি। মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিস সুপার সন্দীপ গড়াই বলেন, এদিন পুলিস ক্যাম্প, কনফারেন্স রুম ও ৪৬টি হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফেরত দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে এবং থানায় দু’টি অনুষ্ঠান করা হয়েছে।
এদিনের কর্মসূচিগুলিতে এসপি, অ্যাডিশনাল এসপি, হাসপাতাল সুপার সহ মাথাভাঙার মহকুমা শাসক নবনীত মিত্তাল, এসডিপিও সমরেন হালদার পুর চেয়ারম্যান লক্ষপতি প্রামাণিক সহ প্রশাসনিক ও পুলিস আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।