উৎসবের মুখে গণ্ডার শিকারের আশঙ্কা, লাল সতর্কতা জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে
বর্তমান | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: উৎসবের মুখে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির চোরাশিকারিদের গণ্ডার শিকারের আশঙ্কা। নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা সূত্রে এই খবর হাতে আসার পর জাতীয় উদ্যানজুড়ে লাল সতর্কতা জারি করল বনদপ্তর। আঁটোসাঁটো করা হয়েছে জাতীয় উদ্যানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। চোরাশিকারিদের গণ্ডার হত্যার আশঙ্কার কথা জেলা পুলিসের গোচরেও এনেছেবনদপ্তর। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ডিএফও প্রবীণ কাসোয়ান বলেন, নির্ভরযোগ্য সূত্রে আমাদের কাছে খবর এসেছে জাতীয় উদ্যানে গণ্ডার শিকার করা হতে পারে। তাই আমরা জাতীয় উদ্যানের সমস্ত রেঞ্জ ও বিটে লাল সতর্কতা জারি করেছি। নিরাপত্তা আগের থেকে অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে। দেশের এই জাতীয় উদ্যানে চোরাশিকারিদের গণ্ডার হত্যার সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে। ২১৬.৫১ বর্গকিমি আয়তনের জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে ২০২২ সালের শেষ শুমারিতে ২৯২টি গণ্ডার ছিল। বর্তমানে সেই সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর পাওয়ার পরেই জলদাপাড়ায় নজরদারি কয়েকগুণ বাড়িয়েছে বনদপ্তর। নজরদারির কাজে বনদপ্তর অগ্রাধিকার দিয়েছে জাতীয় উদ্যানের চারপাশে থাকা বনবস্তিগুলিকে। কারণ, অতীতে চোরাশিকারিরা গণ্ডারের শৃঙ্গ পাচারে মোটা টাকার লোভ দেখিয়ে কাজে লাগিয়েছিল সহজ সরল বনবস্তিবাসীদের। আত্মীয় পরিচয় দিয়ে বনবস্তিবাসীদের বাড়িতে লুকিয়ে ছিল দুষ্কৃতীরা। তাই বনবস্তিগুলিতে অচেনা ব্যক্তিদের আনাগোনা হচ্ছে কিনা তা জানতে পুলিসের সাহায্য নিচ্ছে বনদপ্তর। হেঁটে ছাড়াও বনকর্মীরা একাধিক কুনকি হাতি নিয়ে জঙ্গলে চিরুনি তল্লাশিতে নেমেছেন। রাতে গাড়িতে চলছে টহলদারি। কাজে লাগানো হচ্ছে বনদপ্তরের প্রশিক্ষিত তিনটি স্নিফার ডগকে। লাল সতর্কতা জারি হওয়ায় ছাড় পাচ্ছেন না পর্যটকরাও। জঙ্গলে বেড়াতে আসা পর্যটকদেরও নথিপত্র খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে। একমাত্র বৈধ পর্যটক ছাড়া অন্য কাউকে জঙ্গলে ঢুকতেই দেওয়া হচ্ছে না।