• ‘শুধু তো হাত ভেঙেছে….', মহিলা ডাক্তারদের ‘মেরে’ বলল রোগীর পরিবার, কর্মবিরতি ডাক
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • রোগীমৃত্যুর ঘটনায় কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে উত্তেজনা ছড়াল। অভিযোগ উঠেছে, চিকিৎসকদের উপর চড়াও হন রোগীর পরিজনরা। মহিলাদের ডাক্তারদের মারধর করা হয়েছে। গায়ে হাত তোলা হয় স্বাস্থ্যকর্মীদের। চিকিৎসকদের ধাক্কা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গিয়ে এক পুলিশকর্মীও হাতে চোট পেয়েছেন। আর সেই ঘটনার প্রতিবাদে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা। রোগীর পরিবারের তরফে অবশ্য দাবি করা হয়েছে যে কাউকে মারধর করা হয়নি। কিছুটা ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। যদিও নিজেকে রোগীর পরিবারের লোক হিসেবে দাবি করে এক মহিলা বলেন, ‘শুধু তো হাত ভেঙেছে। তো আমাদের মেয়ে চলে গেল।’

    রোগীর পরিবারের দাবি, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে শুক্রবার তাঁদের মেয়েকে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালে নিয়ে আসা হলেও কোনও চিকিৎসা পাননি। বিনা চিকিৎসায় পড়েছিলেন হাসপাতালে। শেষপর্যন্ত পরিস্থিতি যখন অত্যন্ত সংকটজনক হয়ে ওঠে, তখন অক্সিজেন দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি গিয়েছিল। শ্বাসকষ্ট হতে-হতে এই মহিলার মৃত্যু হয়েছে পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে।


    আর তারপরই হাসপাতাল চত্বরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন রোগীর পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ উঠেছে যে চিকিৎসকদের উপরে চড়াও হন তাঁরা। জড়িয়ে পড়েন বাকবিতণ্ডায়। ধাক্কা মারা হয় চিকিৎসকদের। গায়ে হাত তোলা হয়। চিকিৎসকদের বাঁচাতে এগিয়ে গেলে রোগীর পরিবারের লোকজন তাঁদেরও রেয়াত করেননি বলে অভিযোগ করেছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে এক পুলিশকর্মীও আহত হয়েছেন। তাঁর হাতে চোট লেগেছে। 


    যদিও রোগীর পরিবারের দাবি, চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীদের গায়ে হাত তোলেননি তাঁরা। মেয়ের মৃত্যুর খবরে মেজাজ হারিয়ে ফেলেছিলেন বলে কাঁদতে-কাঁদতে দাবি করেন এক মহিলা। যিনি নিজেকে মৃত মহিলার মা হিসেবে দাবি করেছেন। তারইমধ্যে তাঁর পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা এক মহিলা বলতে থাকেন, ‘শুধু তো হাত ভেঙেছে তো আমাদের মেয়ে চলে গেল।’ তাতে সায় দেন অপর এক মহিলা।


    আর সেই ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে ভুগছেন বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা। আহত একজনের বক্তব্য, ‘৯৯ শতাংশ আতঙ্কে রয়েছি।’
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)