স্টাফ রিপোর্টার: দুটি বাড়ির মাঝে দিতে হবে না নির্দিষ্ট ছাড়। বউবাজারে দ্রুত ২৩টি বাড়ি তৈরি করতে মেট্রোকে অনুমতি দিল কলকাতা পুরসভা। বউবাজার মেট্রো বিপর্যয়ের পর ভেঙে পড়েছিল ২৩টি বাড়ি। সেখানকার বাসিন্দারা মাথা গুঁজেছেন আশপাশের হোটেলে। ভেঙে পড়া বাড়ি দ্রুত তৈরির আশ্বাস দিয়েছিল কেএমআরসিএল। কিন্তু বাদ সেধেছিল প্ল্যানে। বউবাজার ঘিঞ্জি এলাকা। বর্তমানে পুরসভার যা নিয়ম সেই অনুযায়ী বাড়ি তৈরি করতে হলে সমস্ত গৃহহীনদের মাথায় ছাদ দেওয়া অসম্ভব।
উল্লেখ্য, গত বুধবার পুরসভার মাসিক অধিবেশনে ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে মেট্রোর কাজের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত ২৩ বাড়ির নকশা অনুমোদন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। অধিবেশনে মেয়র জানিয়েছিলেন, কেএমআরসিএল একটি সংস্থার মাধ্যমে বউবাজারে ২৩টা বাড়ির নকশা অনুমোদনের জন্য আবেদন জমা দিয়েছে। খুব শিগগিরই মেয়র পারিষদের বৈঠকে এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শুক্রবার মেয়র পারিষদের বৈঠকেই সেই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেওয়া হয়েছে।
পুরসভা সূত্রে জানা গেছে, সেই মতো আজকে বউবাজারের ভেঙে পড়া ২৮টি বাড়ির মধ্যে ২৩টি বাড়ির নকশা-সহ যাবতীয় ছাড়পত্র পাওয়া গিয়েছে। প্রসঙ্গত, বউবাজারে মেট্রোরেলের কাজের জন্য বিপর্যস্ত ২৩টা বাড়ির নকশা অনুমোদন এবং ফিট সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন জমা দেওয়া হয় পুরসভায়। অধিবেশনে কাউন্সিলরের প্রশ্নে মেয়র তাতে প্রাথমিকভাবে সম্মতিও দেন।
পাশাপাশি নতুন বিল্ডিং অনুমোদন নিয়মের প্রসঙ্গ তুলে মেয়র জানান, ‘আজকের বিল্ডিং নিয়মে এই বাড়িগুলোকে ফেললে হবে না। কারণ আগেকার বাড়ি। রাস্তাগুলো খুব সরু। সেজন্য বিশেষ ছাড় দেওয়া হবে। দেখা হবে, যাতে অল্প ছাড় দিয়ে বাড়ি তৈরি করা যায়। ‘এছাড়া যেসব বাড়িগুলো শুধুমাত্র মেরামত করে দেওয়া হয়েছে সেগুলোর ক্ষেত্রে বাড়িগুলোর ‘স্ট্রাকচারাল স্টেবিলিটি সার্টিফিকেট’-এর জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। ইঞ্জিনিয়াররা সেইসব বাড়ি পরীক্ষা করে সার্টিফিকেট দেবেন।