স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে আউশগ্রামের নৃপতিগ্রামে দুটি পরিবারের মধ্যে ঝামেলার জেরে গ্রামের কয়েকজন মিলে সালিশি সভা বসিয়েছিলেন। গ্রামের বাসিন্দা সিভিক ভলান্টিয়ার রহমতুল্লাহ শেখ সেই খবর পেয়ে তাদের জানায় যে পুলিসের নির্দেশ অনুযায়ী এরকম কোনও সালিশি সভা বসানো যাবে না। এরপর রহমতুল্লা চলে যায়। গ্রামের অন্যপাড়ায় নজরদারির কাজে চলে যায় সে। এরপরই রাতে স্থানীয় বাসিন্দা আদিবাসী সম্প্রদায়ের বছর তিরিশের এক গৃহবধূ আউশগ্রাম থানায় রহমতুল্লা শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান।
তাঁর অভিযোগ, রহমতুল্লা শেখ আগে থেকেই তাঁর উপর কুনজর দিত। শুক্রবার বাড়িতে তখন কেউ ছিলেন না, তিনি বাড়ির উঠোনে তক্তার উপর শুয়েছিলেন। সেই সময় ঘরে একা থাকার সুযোগ নিয়ে রহমতুল্লা তাঁর শ্লীলতাহানি করে। অভিযোগ পেয়েই পুলিস অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। যদিও ধৃতের দাবি, ওই পাড়ায় বেআইনি চোলাইমদের কারবার চলে। নিষেধ করায় বচসা হয়। এরপর মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে তাকে। জেলা পুলিস সুপার আমন দীপ বলেন, মহিলা থানায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ করায় পুলিস অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে মামলা রুজু করেছে।