অর্ণব দাস, বারাসত: সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে পরিস্থিতি। শনিবার নিরাপত্তার দাবি তুলে এমএসভিপির ঘরের সামনে নার্সিং স্টাফদের বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। ফলে নতুন করে পরিস্থিতি আরও ঘোরাল হয়েছে। পূর্ব ঘোষণা মতো এদিন কর্মবিরতির পথে হেঁটেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রোগী ভোগান্তি। আউটডোরে টিকিট দেওয়া হলেও পরিষেবা পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা।
শুক্রবার এই উত্তেজনার সূত্রপাত চিকিৎসার গাফিলতিতে লিলুয়ার বাসিন্দা রঞ্জনা সাউয়ের (২৯) মৃত্যুর অভিযোগকে ঘিরে। মৃতের পরিবারের সদস্যরা কর্মরত নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের হেনস্তা করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বলে দাবি। তার পরই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। সেই সময়ই শনিবার থেকে কর্মবিরতির ডাক দেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এই পরিস্থিতিতে এদিন সকালে নার্সরা বিক্ষোভ দেখান এমএসভিপির ঘরের সামনে। বিক্ষোভকারী নার্সরা বলছেন, “কর্মরত অবস্থায় নার্সদের শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্তা করা হয়েছে। আমাদের যখন মারা হচ্ছে, তখন পুলিশ পিছনে দাঁড়িয়ে দেখছে। আমাদের নিরাপত্তা নেই। আমরা ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করি। কিছুই পাই না।”
এদিকে নার্স ও জুনিয়র চিকিৎসকের বিক্ষোভ ও কর্মবিরতির সরাসরি প্রভাব পড়ছে চিকিৎসা পরিষেবায়। এক রোগীর আত্মীয়র দাবি, “আমার পেশেন্ট জ্বরে ভুগছে। ক্রমাগত বমি করছে, মাথা তুলতে পারছে না। জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে বলেছে আউটডোরে নিয়ে যেতে। এখানে ডাক্তার দেখবে কি না জানি না। রোগীর কিছু হয়ে গেলে দায়িত্ব কে নেবে?” আর একজন রোগীর অভিযোগ, “টিকিটের লাইনে দাঁড়িয়েছি। ডাক্তার দেখবেন কি না জানি না।” সব মিলিয়ে আর জি কর কাণ্ডের দীর্ঘ কর্মবিরতির পর ধীরে ধীরে পরিষেবা স্বাভাবিক হচ্ছিল। তার মধ্যেই রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র পরিস্থিতি ঘোরাল হচ্ছে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে।