আদিবাসী মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেপ্তার সিভিক ভলান্টিয়ার। ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমানের আউসগ্রামে। ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম শেখ রহমতুল্লা। তার বাড়ি আউশগ্রামের নৃপতিগ্রামে। সে আউসগ্রাম থানায় কর্মরত ছিল।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ৩০ বয়সী ওই মহিলা শুক্রবার আউশগ্রাম থানায় ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। শেখ রহমতুল্লা তাঁকে উত্যক্ত করত বলে অভিযোগ। শুক্রবার তিনি নিজের বাড়ির বিছানায় ঘুমিয়েছিলেন। সেই সময় ওই সিভিক ভলান্টিয়ার তাঁর বাড়িতে ঢোকে এবং শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। আতঙ্কে চিৎকার করে ওঠেন ওই বধূ। তিনি চিৎকার করে উঠলে রহমতুল্লা এলাকা থেকে পালিয়ে যায়।
মহিলার সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ রহমতুল্লাকে গ্রেপ্তার করে। যদিও ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের পরিবারের দাবি, তাকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে। কারণ এলাকায় চোলাই মদের কারবার বন্ধ করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছিল সে।
প্রসঙ্গত, আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে। এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যজুড়ে। নতুন করে বর্ধমানে সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মতো গুরুতর অভিযোগ ওঠায় আলোড়ন পড়েছে জেলায়।