• 'চিকিৎসকদের গাফলতি ছিল না', দাবি সাগর দত্ত হাসপাতালের অধ্যক্ষের
    এই সময় | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • রোগী মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসায় কোনও গাফিলতি ছিল না, সংবাদমাধ্যমে দাবি করলেন সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম প্রধান ও হাসপাতালের এমএসভিপি সুজয় মিস্ত্রি। হাসপাতালের নিরাপত্তার জন্য আরও সুরক্ষা কর্মীর প্রয়োজন বলে দাবি করেছেন হাসপাতালের এমএসভিপি সুজয় মিস্ত্রি । সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসকদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে রোগীর পরিজনদের বিরুদ্ধে। রোগীর পরিবারের সদস্যদের দাবি ছিল, চিকিৎসায় গাফিলতি করেছিলেন ডাক্তার, নার্সরা। এ বার এই অভিযোগ অস্বীকার করলেন অধ্যক্ষ। তবে জুনিয়র চিকিৎসকদের কাছে কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার আবেদন করেছেন তিনি।হাসপাতালের এমএসভিপি সুজয় মিস্ত্রি বলেন, ‘ওই রোগীকে যখন হাসপাতালে আনা হয়েছিল সেই সময় তাঁর অবস্থা অত্যন্ত খারাপ ছিল। তাঁর মেডিক্যাল রিপোর্টেও বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। চিকিৎসক, নার্সরা যথাযথ পদক্ষেপ করেছেন। হাসপাতালে যাঁরা আসেন তাঁরা অমর নন। মৃত্যুর মুখে এসে পৌঁছনো সমস্ত রোগীকে বাঁচানোর মতো ভগবান এখানে নেই।’

    রোগীর পরিবারের চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে শনিবার কর্মবিরতি শুরু করেছেন হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসক এবং নার্সরা। এ বার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এমএসভিপি সুজয় মিস্ত্রি।

    তিনি বলেন, ‘হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী সকলেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টও বলেছে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্থায়ী নিরাপত্তাকর্মীদের মোতায়েন করতে হবে সব হাসপাতালের সুরক্ষায়। আরজি করের ঘটনার পর এখানে একটি পুলিশের ফাঁড়ি খোলা হয়েছে।’

    তাঁর সংযোজন, ‘বর্তমানে হাসপাতালের সুরক্ষায় ১৬ জন কনস্টেবল, ৪ জন পুলিশ আধিকারিক এবং ৮ জন সিভিক মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু অতবড় হাসপাতালের জন্য এই সংখ্যক সুরক্ষাকর্মী পর্যাপ্ত নয়।’ হাসপাতালের সুরক্ষা আরও জোরদার করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। শনিবার এই ঘটনার পর জেলাশাসক এবং ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার হাসপাতালে যান। গোটা ঘটনাটির বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নেন তাঁরা। হাসপাতালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।
  • Link to this news (এই সময়)