ভেঙে পড়া ২৩টি বাড়ি নির্মাণ করবে মেট্রো, বিল্ডিং প্ল্যানের জট কাটাল কলকাতা পুরসভা
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বউবাজার এলাকায় মেট্রোর পথ তৈরি করতে গিয়ে একের পর এক বাড়িতে ফাটল ধরে গিয়েছিল। এমনকী ২৩ বাড়ি ভেঙে পড়েছিল। যা নিয়ে তুমুল আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল। এবার মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ ভেঙে পড়া ২৩টি বাড়ি নির্মাণ করতে চলেছে। বাড়ির বাসিন্দারা হোটেলে দিন কাটাচ্ছিলেন। এই আবহে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ এগিয়ে আসতেই পাশে দাঁড়াল কলকাতা পুরসভা। দুটি বাড়ির মাঝে আর দিতে হবে না নির্দিষ্ট ছাড়। এমনই অনুমতি কলকাতা পুরসভা দিয়েছে মেট্রোকে। আর তারপরই ভেঙে পড়া বাড়িগুলি দ্রুত গড়ে তোলার আশ্বাস দেয় কেএমআরসিএল। এই বাড়িগুলির প্ল্যানে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। সেখানে কলকাতা পুরসভা কাটিয়ে দিল জটিলতা। এখন আর বাড়ি তৈরি করতে সমস্যা হবে না।
বউবাজারে ভেঙে পড়া ২৩টি বাড়ি গড়ে তোলের ক্ষেত্রে বিল্ডিং প্ল্যান নিয়ে জট তৈরি হয়। আর তা নিয়ে গত বুধবার কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশনে ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে মেট্রোর কাজের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত ২৩ বাড়ির নকশা অনুমোদনের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন। অধিবেশনে তখন মেয়র জানান, এই ২৩টি বাড়ি কেএমআরসিএল একটি সংস্থার মাধ্যমে বউবাজারে নকশা অনুমোদনের জন্য আবেদন জমা দিয়েছে। দ্রুতই বিষয়টি নিয়ে মেয়র পারিষদের বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গতকাল শুক্রবার মেয়র পারিষদের বৈঠকেই ওই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেওয়া হয়েছে। তাতেই কেটে গিয়েছে জট।
এই ২৩টি বাড়ি তৈরি করার পর বাসিন্দারা হোটেল থেকে বাসস্থানে আসতে পারবেন। বেশ কয়েক মাস ধরে হোটেলে কাটাতে হচ্ছে। সেখানে দুর্গাপুজোর আগে সুখবর পেলেন বউবাজারের ওই ২৩টি বাড়ির বাসিন্দারা। কারণ এখন জটিলতা কেটে গিয়েছে। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, আজ শনিবার বউবাজারের ভেঙে পড়া ২৮টি বাড়ির মধ্যে ২৩টি বাড়ির নকশা এবং অন্যান্য ছাড়পত্র মিলেছে। বউবাজারে মেট্রো রেলের সুরঙ্গ পথের কাজের জন্য ভেঙে পড়ে ২৩টা বাড়ি। তার নকশা অনুমোদন এবং ফিট সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন জমা দেওয়া হয় কলকাতা পুরসভায়। যে জট ছিল সেটা মেয়র দেখে প্রাথমিকভাবে সম্মতি দিয়েছেন।
কেন এমন ছাড় দিলেন মেয়র? এই প্রশ্ন যখন ওঠে তখন বিষয়টি বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। নতুন বিল্ডিং অনুমোদন নিয়ম জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘আজকের বিল্ডিংয়ের নিয়মে এই বাড়িগুলিকে ফেললে হবে না। কারণ এগুলি অনেক আগেকার বাড়ি। তাই রাস্তাগুলিও খুব সরু। তার জন্য বিশেষ ছাড় দেওয়া হবে। দেখা হবে, যাতে অল্প ছাড় দিয়ে বাড়ি গড়ে তোলা যায়। এই বাড়িগুলির ক্ষেত্রে ‘স্ট্রাকচারাল স্টেবিলিটি সার্টিফিকেট’ নেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। ইঞ্জিনিয়াররা সেইসব বাড়ি পরীক্ষা করে সার্টিফিকেট দেবেন।’