‘অভিভাবক’ অনুব্রত’র সঙ্গে সাক্ষাৎ কাজলের, কী বললেন তৃণমূল নেতা?
এই সময় | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
জল্পনার অবসান! বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাপতি কাজল শেখ। কেষ্ট দা’র সঙ্গে বৈঠক করে ‘একসঙ্গে’ চলার বার্তা দিলেন কাজল।অনুব্রত ও কাজলের ‘অম্ল-মধুর’ সম্পর্কের কথা জেলায় কান পাতলেই শোনা যায়। বিতর্কের মাঝেও জেলযাত্রার পর অনুব্রত মণ্ডলকে নিজের রাজনৈতিক ‘অভিভাবক’ বলেই জানান কাজল। যদিও, অনুব্রত মণ্ডল বাড়ি ফেরার পর চিত্রটা কিছুটা পাল্টে যায়। অনুব্রত ঘনিষ্ঠ এক নেতার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শোনা যায় কাজল শেখকে। বিষয়টি নিয়ে নতুন করে জেলার রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়। অবশেষে, শনিবার বিকেলে বোলপুর কার্যালয় গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করেন কাজল শেখ।
জেলমুক্তির পরদিন থেকেই বোলপুরের কার্যালয়ে নিয়মিত যান অনুব্রত মণ্ডল। এর আগে জেলার একাধিক শীর্ষ নেতাকে দলীয় কার্যালয় হাজির হতে দেখা গিয়েছে। তবে, কাজলের অনুপস্থিতি জল্পনা বাড়িয়ে দিয়েছিল। শনিবার প্রায় কয়েক ঘণ্টা কাটানোর পর পার্টি অফিস থেকে বেরিয়ে কাজল বলেন, ‘অনুব্রত মণ্ডল আমাদের সভাপতি পদে রয়েছেন। আমাদেরকে আগামী দিনে একসঙ্গে কাজ করতে দেখা যাবে। খুব তাড়াতাড়ি কোর কমিটির বৈঠক ডাকা হবে। যেখানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অনুব্রত মণ্ডল।’
দিন কয়েক আগেই নানুরের একটি সাংগঠনিক বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কাজল শেখ বলেছিলেন, ‘কোনও গ্রুপ বাজি বরদাস্ত করব না। দয়া করে গ্রুপ বাজি করবেন না। আমি দাবা খেলাও খেলতে জানি, হাডুডুও খেলতে জানি। খেলা হবে গান শুনিয়ে লাভ হবে না বন্ধু।’ অনুব্রত ঘনিষ্ঠ নেতা করিম খানের নাম না করেই তিনি একাধিক হুঁশিয়ারি দেন বলে বলে দাবি করেন অনেকেই। অন্যদিকে গতকাল বীরভূম জেলা তৃণমূলের পার্টি অফিসে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘কেউ খুঁচিয়ে দিল। দুটো বাইট দিয়ে দিল লাভ নেই।’ তবে গতকালই অনুব্রত মণ্ডল সকলকে একসঙ্গে চলার বার্তা দিয়েছিলেন। আজ সেই বার্তাই শোনা গেল কাজল শেখের মুখেও।