কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ল্যাবরেটরিতে দুর্নীতি চলেছে বলে অভিযোগ জানিয়ে অধ্যক্ষকে স্মারকলিপি দিল সেখানকার পড়ুয়াদের সংগঠন। তাদের অভিযোগ, মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির তৎকালীন চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায়ের নির্দেশেই এ সব চলেছিল। দু্র্নীতিতে মেডিক্যাল কলেজের বর্তমান প্যাথলজিস্ট জয়ন্ত ঘোষ জড়িত ছিলেন বলেও দাবি করেছে ওই সংগঠন। টাকার বিনিময়ে হাসপাতালের শয্যা বিক্রির অভিযোগও তুলেছে মেডিক্যাল কলেজ স্টুডেন্টস’ ইউনিয়ন।
শনিবার মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষকে একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন পড়ুয়া সংগঠনের সদস্যেরা। সেখানে সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরে হাসপাতালের ল্যাবরেটরিতে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালের ল্যাবরেটরির জন্য সরকার যে টেস্ট এবং কিট বরাদ্দ করেছে, তা নিজেদের নমুনা পরীক্ষার জন্য ব্যবহার করেছে আশপাশের বেসরকারি ল্যাবরেটরিগুলি। আর এই গোটা ঘটনাই হয়েছে সুদীপ্তের নির্দেশে। গোটা ঘটনায় জয়ন্তও জড়িত ছিলেন বলে দাবি করেছে পড়ুয়াদের সংগঠন। তাদের আরও অভিযোগ, হাজার হাজার টাকার বিনিময়ে হাসপাতালের সাধারণ, সিসিইউ শয্যা রোগীর পরিবারের কাছে বিক্রি করেছে ‘দালাল চক্র’। রোগীর যে শয্যা বিনামূল্যে পাওয়ার কথা, সেটি পেতে তাঁদের হাজার হাজার টাকা দিতে হচ্ছে। সংগঠনের দাবি, বার বার এই নিয়ে অভিযোগ জানিয়েও কোনও পদক্ষেপ করেনি প্রশাসন। চিকিৎসক সুদীপ্ত এবং জয়ন্তের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার দাবি তুলেছে তারা। এই ‘দালাল চক্র’-এর বিরুদ্ধে কডা পদক্ষেপ করার দাবি সংগঠনের। হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদে কলেজের কোনও অধ্যাপক বা প্রশাসককে রাখার দাবিও তুলেছে তারা।
সুদীপ্তের বাড়িতে এর আগে তল্লাশি চালিয়েছে ইডি এবং সিবিআই। তিনি ইডির দফতরে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদেরও সম্মুখীন হয়েছিলেন। আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্তে আগেই সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন আরজি মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তার পর থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আতশকাচের তলায় ছিলেন শ্রীরামপুরের বিধায়ক তথা শাসকদলের চিকিৎসক নেতা সুদীপ্ত। তিনি রাজ্যের হেল্থ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের সদস্য। একই সঙ্গে আরজি কর হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির প্রাক্তন চেয়ারম্যানও বটে।