• অভিষেকের অফিস থেকে অভিযোগ! তারপরেও ফিরহাদের ওএসডির বিরুদ্ধে তদন্ত করবে না পুরসভা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • খোদ মেয়রের ওএসডির বিরুদ্ধে অভিযোগ। তোলাবাজির অভিযোগ। সেই অভিযোগ আবার এসেছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস থেকে। অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। কিন্তু তারপরেও ফিরহাদ হাকিমের ওএসডি কালীচরণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করবে না কলকাতা পুরসভা। কেন? কারণটা কী?

    শনিবারও যথারীতি কাজ করেছেন অফিসে অভিযুক্ত কালীচরণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আনন্দবাজার অনলাইনের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, পুরসভার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মেয়রের ওএসডির বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা আমরা সংবাদমাধ্যম থেকেই জেনেছি। অভিযোগকারী বা কলকাতা পুলিশ কেউই আমাদের কাছে অভিযোগের কথা জানায়নি। আমাদের কাছে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। বলেই ওই ওএসডির বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত বা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে না। 

    তবে এখানেই প্রশ্ন পুলিশের কাছে তো অভিযোগ গিয়েছে। তারপরেও কেন বিভাগীয় তদন্ত করবে না পুরসভা? পুরসভা কেন এব্যাপারে উদ্যোগী হবে না? এত বড় অভিযোগের পরেও কেন এনিয়ে উচ্চবাচ্য করছে না পুরসভা? ইতিমধ্যেই এনিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। 

    এদিকে পুরসভা কোনও পদক্ষেপ নিজে থেকে না নিলেও পুলিশ এবার কতটা পদক্ষেপ নেয় সেটাও দেখার। যেখানে অভিষেকের অফিস থেকে অভিযোগ সেখানে কি পুলিশ চুপ করে বসে থাকতে পারবে? নাকি এখানেও আছে অন্য কোনও অঙ্ক? 

    তবে এই অভিযোগ নিয়ে ফিরহাদ হাকিম আগেই বলেছিলেন, ‘আমি আগে এটা কখনও শুনিনি। যদি কোনও অভিযোগ থাকে, তাহলে আমায় দিত। আমি তদন্ত করাতাম। এই ব্যাপারটা আমি ঠিক জানি না। এই ব্যাপারে আমি কিচ্ছু জানি না। আপনার কাছেই শুনলাম।'

    'যদি এরকম কোনও অভিযোগ থাকত, তাহলে আমায় বলতে পারত তো। একজন মানুষের নামে এমন কোনও অভিযোগ যদি আসে, যে অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই, তাঁকে কীভাবে সরিয়ে দেব আমি?’

    তবে শনিবার তিনি এনিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। 

    সেক্সপিয়র সরণি থানার ওসিকে চিঠি লেখা হয়েছিল অভিষেকের অফিস থেকে। অয়ন ঘোষ দস্তিদার সেই চিঠি লিখেছিলেন। তিনি নিজের পরিচয় দিয়েছেন, ৯ নম্বর ক্যামাক স্ট্রিটের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের অফিসে তিনি কর্মরত।

    কালিচরণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ। লেখা হয়েছে, তিনি বর্তমানে কলকাতার মেয়রের ওএসডি। তিনি নিজেকে অভিষেক ব্যানার্জির ঘনিষ্ঠ সহযোগী পরিচয় দিয়ে টাকা তুলছে, তোলাবাজি করছেন।ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মচারী, সাধারণ মানুষের কাছ থেকে তোলাবাজি করছেন। তিনি অভিষেক ব্যানার্জির ঘনিষ্ঠ এটা উল্লেখ করে তোলাবাজি করছেন। এমনকী কালিচরণ কোটি কোটি টাকা তুলছে বলে অভিযোগ জানানো হয়েছে।

    বলা হয়েছে, ওই ব্যক্তি লোকজনের সঙ্গে দেখা করে বলছেন যে তাঁর সঙ্গে অভিষেকের ঘনিষ্ঠ যোগ রয়েছে। এরপর তাদের কষ্টের টাকা তিনি আদায় করে নিচ্ছেন। তিনি নিজেকে অত্যন্ত প্রভাবশালী একজন ব্যক্তি হিসাবে জাহির করছেন। বহু মানুষের সঙ্গে তিনি প্রতারণা করেছেন। তিনি মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন যে তিনি অভিষেক ব্যানার্জির মাধ্যমে সুবিধা পাইয়ে দেবেন। কিন্তু তিনি কোনও প্রতিশ্রুতিই পালন করতে পারেননি কারণ অভিষেকের সঙ্গে তার কোনও যোগাযোগই নেই।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)