• বৃষ্টির পর রোদ উঠতেই দক্ষিণবঙ্গের বাজারে কেনাকাটার বিপুল উন্মাদনা 
    বর্তমান | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: তিনদিনের বৃষ্টির পর রোদ ঝলমলে শরৎ আকাশে পুরোদমে উৎসবের আমেজ। রাস্তায় মাইকে বাজছে আগমনি সুর। টোটোর উপরে মাইক বেঁধে বিভিন্ন দোকানের অফার জানানো হচ্ছে ক্রমাগত। মাঝে মধ্যে তাতেই বাজছে পুজোর গান কিংবা ঢাকের বোল। শনিবার একটু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গোটা দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে ভিড় আছড়ে পড়ল বাজারে। আট থেকে আশি, ভিড় জমিয়েছে বাজার পাড়ায়। সপ্তাহান্তের বাজারে জামা, কাপড় থেকে জুতো ও প্রসাধনীর দোকানে উপচে পড়ল ভিড়। পুজোর আগে এই এক সপ্তাহের ভিড় সামাল দেওয়ার জন্য বড় বড় দোকান ও শপিং মলে বাড়তি লোক নেওয়া হয়েছে। তবে শনিবার বাজারে ব্যাপক ভিড় হলেও, কেনকাটা করছেন কিছু মানুষ। অনেকেই মাসের শেষে ফাঁকা পকেট নিয়ে উইন্ডো শপিংয়ে মেতেছেন। জিনিস পছন্দ করে রাখছেন আগেভাগে। মাস পয়লায় মাইনে ঢুকলেই চলবে দেদার কেনাকাটা। অপেক্ষায় রয়েছেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা। তবে শনিবার ভালোই বিক্রি হয়েছে বড় দোকান ও শপিং মলগুলিতে। 


    বৃষ্টি ধরতেই এদিন সকাল থেকে দক্ষিণবঙ্গের দোকান ও শপিং মলগুলিতে ভিড় শুরু হয়। শনিবার সকাল থেকে ঝাঁপিয়ে পড়লেন উৎসব প্রিয় বাঙালি। নামী ব্র্যান্ডের জুতোর দোকান থেকে শাড়ি ও রেডিমেড পোশাকের দোকানে এদিন ছিল বাড়তি ভিড়। পরপর তিনদিন এক নাগাড়ে বৃষ্টিতে বাজারের যে ক্ষতি হয়েছিল, তা শনিবারের বাজার কিছুটা পুষিয়ে দিল বলেই বলছেন ব্যবসায়ীরা। তবে মাসের শেষ বলে অনেকেই জামা কাপড় দেখাশোনা করতেই শপিংমলে ঢুঁ মারেন। কেনাকাটার আগে একবার রেইকি করলেন অনেকেই।  


    পুজোর আর দশদিন বাকি। বাজারে আরও লোক আসুক, চাইছেন ছোট বড় ব্যবসায়ীরা। গত দুই-তিন বছরে অনলাইনে কেনাকাটার প্রতি আগ্রহ অনেক বেড়েছে যুবক-যুবতীদের। তবে গত কয়েকদিনে বাজার-দোকানে যে লোক দেখা গিয়েছে, তার অধিকাংশ ছিল নতুন প্রজন্ম। অনলাইন কেনাকাটা ছেড়ে তারাও এবার শপিংমল ও দোকান ঘুরে জিনিসপত্র কেনাকাটা করছে। 


    বহরমপুর ক্লথ মার্চেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সম্পাদক অভিজিৎ চক্রবর্তী বলেন, বাজার বৃষ্টির জন্য ক্ষতি হয়েছে ঠিকই, তবে এবার পুষিয়ে যাবে। শনি ও রবিবার মাসের একদম শেষ দিকে পড়ায় কিছুটা প্রভাব পড়েছে। তবে অনলাইনে কেনাকাটা ছেড়ে যুবক যুবতীরা বাজারে আসায় আমরা খুশি। নতুন প্রজন্ম নিজেরা দেখে শুনে ট্রায়াল দিয়ে জামাকাপড় কিনছে। 


    কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা পতুল রায়চৌধুরী বলেন, গত সপ্তাহ থেকে পুজোর মার্কেটিং শুরু করেছি। এখন মাসের একদম শেষ। তাই এ সপ্তাহে খুব একটা কেনাকাটা হবে না। তবে এদিনের ভিড় দেখেই বোঝা গেছে, বাজার ঘুরতে শুরু করেছে। দিন কয়েকের মধ্যে কেনাকাটা শেষ করে ফেলব। - নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)