রাস্তা ভাসছে নোংরা জলে, নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ বিধায়কের
বর্তমান | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, রামপুরহাট: বৃষ্টি হলেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে রামপুরহাট শহরের ব্যস্ততম এমএনকে রোড। বেহাল নিকাশি নিয়ে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের শেষ নেই। শনিবার সেই এলাকা ঘুরে দেখার পর সাধারণ মানুষের সুরেই নিকাশি অব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার তথা স্থানীয় বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরসভার কাজকর্মেও তিনি ক্ষুব্ধ। তিনি বলেন, বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার জন্যই বৃষ্টি হলেই ওই এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ছে। নালাগুলি পরিষ্কার করা হয়নি। অনেকের ঘরে নোংরা জল ঢুকে যায়। এছাড়া শহরের জল নিকাশির অন্যতম মাধ্যম কাঁদর সংস্কার সঠিকভাবে হয়নি। গোটা কাঁদর বুজে রয়েছে। আবার কাঁদরের অংশ বুজিয়ে অবৈধভাবে নার্সিংহোম গড়ে উঠেছে। এটা কি পুরসভার দেখার দায়িত্ব ছিল না। বিষয়টি জেলাশাসককে জানিয়ে আইনি পদক্ষেপ করার জন্য বলব।
প্রতিবছর এক পশলা বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে এমএনকে রোড। সুষ্ঠু নিকাশি ব্যবস্থা না থাকায় জলমগ্ন হয়ে পড়ে লগোয়া রানিগঞ্জ মোড়গ্রাম ১৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ও লোটাসপ্রেস মোড়। হাঁটু সমান জল দাঁড়িয়ে পড়ে। জল ঢুকে যায় ওই এলাকার অপেক্ষাকৃত নিচু বাড়িগুলিতে। নিকাশি নালা ছাপিয়ে নোংরা দুর্গন্ধযুক্ত জল মিশে দুর্বিষহ অবস্থা হয়ে দাঁড়ায় সাধারণ মানুষের। বহু বছর ধরে মানুষ এই জলবন্দি সমস্যায় ভুগছেন। একের পর এক পুরসভা নির্বাচন পেরিয়ে যাচ্ছে, চেয়ারম্যানের চেয়ারে চেহারার পরিবর্তন হচ্ছে, অথচ ভুক্তভোগী বাসিন্দাদের দুর্দশা কাটছে না। তেমনি বাড়ছে মশার উপদ্রব। শনিবার সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা তুলে ধরে প্রতিবেদন বের হয় বর্তমান কাগজে। এরপরই এদিন দুপুরে এলাকা পরিদর্শনে আসেন আশিসবাবু। কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে। তিনি নিকাশি অব্যবস্থার পাশাপাশি পুর পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। যদিও স্থানীয়দের একটা অংশ বলছে, পুরসভা যে একেবারে নালা পরিষ্কার করে না, তা নয়। কিন্তু রাস্তার দু’ধারে থাকা দোকানদাররা নালা নোংরা আবর্জনা ফেলে দিচ্ছে। এদিকে পুরসভার নজর এড়িয়ে কীভাবে শহরের জল নিকাশির কাঁদর বুজিয়ে নার্সিংহোম গড়ে উঠতে পারে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন আশিসবাবু।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার শহরগুলির নিকাশি সহ নানা সমস্যা নিয়ে জেলাস্তরে মিটিং করার জন্য নির্দেশ দেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। সেই মিটিংয়ের দায়িত্ব দেন আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ও কারামন্ত্রীকে। আশিসবাবু বলেন, আগামী ৩ অক্টোবর সিউড়িতে জেলার ছ’টি পুরসভার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের নিয়ে জেলাশাসকের উপস্থিতিতে বৈঠক হবে। সেখানে বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করা হবে। তিনি বলেন, রামপুরহাটে কাঁদর বুজিয়ে গড়ে ওঠা নার্সিংহোমের মালিকে মহকুমাপ্রশাসনের পক্ষ থেকে নোটিস দেওয়া হলেও তিনি আসছেন না। এবার ওই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলাশাসককে বলব। -নিজস্ব চিত্র