• শরতের বৃষ্টিতেও কোচবিহার শহরের রাস্তায় জমেছে জল, চিন্তায় পুরসভা
    বর্তমান | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: কোচবিহার শহরকে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। সাগরদিঘি, বৈরাগীদিঘির সৌন্দর্যায়নের কাজ প্রায় শেষের দিকে। কিন্তু সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরের প্রধান পর্যটন কেন্দ্র রাজবাড়ির সামনে এসে থমকে যেতে হয়। রাজবাড়ির মূল ফটক, কেশব রোড, মিনি বাসস্ট্যান্ডের সামনের এলাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই জল জমে। এনিয়ে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের শেষ থাকে না। বর্ষায় তো বটেই, শরতের বৃষ্টিতেও শনিবার সকালে শহরের কেশব রোড, রাজ রাজেন্দ্রনারায়ণ রোড সহ একাধিক জায়গায় জল জমে যায়। পুরসভা নিকাশিনালা পরিষ্কারের কাজ চালালেও এই দুর্ভোগ থেকে এখনও শহরবাসীকে মুক্ত করতে পারেনি। 


    বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় নিকাশিনালার ঢাকনা তুলে পরিষ্কারের কাজ করলেও বাস্তবে লাভ কিছুই হয়নি। রাজবাড়ির সামনের রাস্তা, মিনি বাসস্ট্যান্ডের সামনে এখনও আগের মতোই জল জমছে। কেন এমন হচ্ছে তা নিয়ে পুরসভাও চিন্তার মধ্যে পড়েছে। পুরসভার দাবি, নিকাশি ব্যবস্থায় নতুন করে কাজ না হলে সমস্যার সমাধান হবে না।


    কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, আবর্জনা ফেলে নিকাশিনালা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। বারবার পরিষ্কার করলেও এমনটা হচ্ছে। কিছু নালা দিয়ে জল যাচ্ছে না। এবার নিকাশিনালা তৈরি হলে যদি সমস্যার সমাধান হয়। 


    প্রতি বর্ষাতেই কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকায় জল জমে যাওয়াটা দীর্ঘদিনের সমস্যা। এনিয়ে শহরবাসীর মনে যথেষ্ট ক্ষোভ রয়েছে। কোচবিহারকে হেরিটেজ শহর হিসেবে গড়ে তোলার কাজ চলছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত শহরের নিকাশি ব্যবস্থার কোনও স্থায়ী সমাধান হয়নি। প্রতিদিন জেলা তথা উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা থেকে বহু পর্যটক কোচবিহার রাজবাড়ি বেড়াতে আসেন। কোচবিহারের ভাবাবেগের সঙ্গে এই রাজবাড়ি অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে রয়েছে। অথচ এই রাজবাড়ির প্রধান গেটের সামনে সামান্য বৃষ্টি হলেই হাঁটু জল দাঁড়িয়ে যায়। রাজবাড়ি উদ্যান, মিনি বাসস্ট্যান্ডের সামনে তো জল কয়েক দিন ধরে জমে থাকে। ওই রাস্তা দিয়েই বাসস্ট্যান্ড থেকে যানবাহন বের হয়। পাশাপাশি এই পথ ধরেই সাধারণ মানুষ হেঁটে শহরে প্রবেশ করে। সেক্ষেত্রে তাঁরা চরম সমস্যায় পড়েন। এই সমস্যা কবে মিটবে তার কোনও সদুত্তর কিন্তু এখনও পাওয়া যায়নি। কোচবিহার রাজবাড়ির সামনে জমে জল। - নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)