• ‘অসুস্থ বাবা-মায়ের ওষুধ দরকার, ১ মাসের মধ্যে খোরপোশ মেটান’
    বর্তমান | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ‘আপনার বৃদ্ধ বাবা চোখের অসুখে ভুগছেন। আপনার মা অসুস্থ। নিত্য ওষুধের প্রয়োজন হয়। চিকিৎসা সংক্রান্ত নথিপ঩ত্রেই সেই তথ্য স্পষ্ট। অথচ আপনি তাঁদের দেখভাল করেন না। আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও তাঁদের বেশ কয়েকমাস খোরপোশের টাকা মেটাননি। একমাসের মধ্যে সুদ সহ সেই টাকা মেটান। না হলে আদালত কড়া পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে।’ 


    শুক্রবার শিয়ালদহের বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট (জেএম) আদালত এমন কড়া ভাষায় ভর্ৎসনা করলেন বৃদ্ধ দম্পতির ছেলে স্বপন সাহাকে। বিচারকের কাছে স্বপনবাবু নিজের মতামত তুলে ধরার চেষ্টা করছিলেন। তারপর বিচারকের কড়া মন্তব্যে মুষড়ে পড়েন। বিচারক আরও বলেন, ‘আপনার কোনও লজ্জা নেই। এই বৃদ্ধ বয়সে আপনার বাবাকে খোরপোশের টাকা চাইতে কোর্টের দরজায় ঘুরতে হচ্ছে। রাখুন আপনার কথা। আপনি বকেয়া সহ টাকা মেটান।’ এরপর কোনও মন্তব্য করেননি ছেলে।


    আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর জুলাই মাসে উত্তর কলকাতার কাশীপুর রোডের বাসিন্দা অনিল সাহা নিজের ছেলে স্বপনের বিরুদ্ধে খোরপোশের মামলা করেন। আদালতে তাঁর অভিযোগ ছিল, ছেলে‑বউমা দেখেন না। খাওয়াদাওয়া ও ওষুধপত্র কিনতে প্রতিমাসে মেয়ে‑জামাই কিছু টাকা দিয়ে সাহায্য করেন। তাতে কোনওভাবে চলে যায়। ছেলেকে বারবার বলেও কোনও কাজ হয়নি। শেষপর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়েছে। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক এক অন্তর্বর্তী রায়ে প্রতিমাসে ছ’হাজার টাকা করে খোরপেোশ দেওয়ার নির্দেশ দেন ছেলেকে। মাসের প্রথম সপ্তাহে সেই টাকা দেওয়ার কথা। কিন্তু বৃদ্ধের অভিযোগ, গত পাঁচ মাস ধরে সেই টাকা তিনি পাচ্ছেন না। ফলে সমস্যা হচ্ছে। বৃদ্ধ‑দম্পতির বক্তব্য, ‘মেয়ে‑জামাই যেটুকু টাকা পাঠান, তাতে খাবারের বিষয়টি মিটে যায়। কিন্তু ওষুধ কিনতে সমস্যা হচ্ছে।’ তাঁরা জানান, খোরপোশের টাকা না মেলার কারণেই তাঁরা ফের আদালতের দরজায় এসেছেন।
  • Link to this news (বর্তমান)