শুক্রবার রাতে সাগর দত্ত হাসপাতালে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মারধর করেন রোগীর পরিবারের লোকজন। তারই প্রতিবাদে শনিবার সারাদিন কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের অভিযোগ, সাগরদত্ত হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের 'আরজি কর করে দেওয়ার' হুমকি দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এক নার্স। এই ঘটনার সময় পুলিস কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকায় ছিল বলে দাবি ওই নার্সের। তিনি বলেন, 'যখন আমাদের মারছিল রোগীর বাড়ির লোকজনরা তখন পুলিসকর্মীরা দূরে দাঁড়িয়ে সেটা দেখছিলেন। সাহায্য করেননি।' তাই কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তাসহ ১০ দফা দাবিতে কর্মবিরতিতে বসেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্মবিরতি তুলতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব রকমের আশ্বাস দেওয়া হলেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আশ্বস্ত হননি চিকিৎসক-সহ স্বাস্থ্যকর্মীরা।
শনিবার দফায় দফায় চিকিৎসক ও নার্সদের সঙ্গে কথা বলেন স্বাস্থ্যসচিব, জেলাশাসক-সহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তারা। স্বাস্থ্যসচিবের উপস্থিতিতেই ব্যারাকপুর পুলিস কমিশনার অলোক রাজোরিয়া ডাক্তারদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস দেন। পুলিসি প্রহরা বাড়ানো থেকে শুরু করে অতিরিক্ত প্রায় ৩০০টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে বলে আশ্বাস দেন তাঁরা। তবে এই আশ্বাস মেনে নেননি অবস্থানরত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাঁদের দাবি, 'স্বাস্থ্যসচিব আমাদের কেবল মৌখিক প্রতিশ্রুতিই দিলেন। সিসিটিভি বসানো-সহ আরও বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই প্রতিশ্রুতিগুলি আমরা গত এক মাস ধরে শুনে এসেছি। আমরা আর প্রতিশ্রুতিতে ভুলব না। যতক্ষণ না নিরাপত্তা নিশ্চিত হচ্ছে, আমাদের আন্দোলন চলবে।' তাঁরা আরও বলেন যে রাজ্যের প্রতি তাঁদের আর আস্থা নেই। তাই সোমবার বিকেল থেকেই আবার কর্মবিরতিতে জুনিয়র ডাক্তাররা।