এই সময়: রেশন দুর্নীতি মামলায় আনিসুর রহমান এবং আলিফ নুরের মাধ্যমে প্রায় এক হাজার কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে! তার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল ৩৫০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট— শনিবার কলকাতা নগর দায়রা আদালতে রেশন দুর্নীতির সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করে এমনই দাবি করল ইডি।এই আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানের যোগসাজশ রয়েছে বলেও দাবি করেছেন তদন্তকারীরা। এ দিন রেশন দুর্নীতি মামলায় ১৫৭ পাতার তৃতীয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দেয় ইডি৷ সেই সঙ্গে ৩ হাজার পাতার নথিও জমা পড়েছে বলে আদালত সূত্রে খবর।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃতীয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে আনিসুর ওরফে বিদেশ ও আলিফ ওরফে মুকুল ছাড়াও আরও দুই রেশন ডিস্ট্রিবিউটার এবং চারটি সংস্থার নাম রয়েছে। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ বাকিবুর রহমানের আত্মীয় বিদেশ এবং মুকুলকে
গত ২ অগস্ট গ্রেপ্তার করে করেন ইডি আধিকারিকেরা। দেগঙ্গার ওই ব্যবসায়ীদের বাড়ি, ধান এবং চালকলে অভিযান চালিয়েছিলেন তাঁরা। সেখান থেকে বেশ কিছু নথিপত্র উদ্ধার হয়। উল্লেখ্য, বাকিবুর জামিনে আপাতত জেলের বাইরে রয়েছেন। জামিন পেয়েছেন বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য এবং ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাসও।
যদিও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এখনও জেলেই রয়েছেন। আইনজীবীদের একাংশ মনে করছেন, এ দিনের চার্জশিটের কারণে জামিন পেতে জ্যোতিপ্রিয়র আইনি সমস্যায় পড়তে পারেন। এ নিয়ে রেশন দুর্নীতি মামলায় ব্যক্তি এবং সংস্থা মিলিয়ে মোট ২৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিটে জমা পড়ল।