• চরম বিপদসীমা ছুঁইছুঁই টাঙন, পুনর্ভবার জলস্তর
    বর্তমান | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: শুক্রবারের পর শনিবারও টাঙন, পুনর্ভবা নদীর জলস্তর বাড়ল। চারদিন ধরে প্রবল বর্ষণের জেরে চিন্তা বাড়াচ্ছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা দিয়ে প্রবাহিত এই দুই নদী। জলস্তর এখন চরম বিপদসীমা ছুঁইছুঁই। শনিবার সকালে জেলা সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা গঙ্গারামপুর মহকুমার দুই নদীর জলস্তর ও বিভিন্ন এলাকায় বাঁধের পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন। দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার টাঙনে ২৫.১০ মিটার ও পুনর্ভবার জলস্তর ছিল ২৪.৯৫ মিটার। শনিবার সন্ধ্যার রিপোর্ট বলছে টাঙনের জলস্তর ২৫.৭৫ মিটার, যা চরম বিপদসীমার কাছাকাছি। পুনর্ভবার জলস্তরও চরম বিপদসীমা ছুঁইছুঁই। এদিন এই নদীর জলস্তর ছিল ২৫.৮২ মিটার। এদিন গঙ্গারামপুর শহরের পূর্ব হালদার পাড়া, মিতা সিনেমা হলের স্লুইস গেট দিয়ে পুনর্ভবার জল শহরের ঢুকতে শুরু করে। ফলে ব্লকের শুকদেবপুর, হোসেনপুর, বেলবাড়ি গুরিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দারা পুজোর আগে বানভাসি হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন। বংশীহারি, কুশমণ্ডি ও বুনিয়াদপুর শহরের বিভিন্ন এলাকাতেও টাঙন নদীর জল ঢুকছে। বিশেষ করে কুশমণ্ডিতে নদী সংলগ্ন পাড়া ও চাষের জমিতে জল ঢুকতে শুরু করায় চিন্তা বাড়ছে সাধারণ মানুষের। গঙ্গারামপুর বেলবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মাধাই হালদার বলেন, প্রত্যেক বছর বর্ষায় আমাদের মতো নদীপারের বাসিন্দাদের আতঙ্কে থাকতে হয়। গত বর্ষায় বাঁধ ভেঙে প্লাবন হয়েছিল। এবারও আতঙ্ক বাড়ছে। মহালয়া পর্যন্ত জেলাজুড়ে হালকা বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়েছে জেলার মাঝিয়ান কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র। কেন্দ্রের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক সুমন সূত্রধর বলেন, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ভারী বর্ষণ হওয়ায় এই জেলার নদীগুলিতে জল বাড়ছে। 


    জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, বিডিও, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। জেলা সেচদপ্তর ও ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগ তৈরি রয়েছে। যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। সেচ দপ্তর বাঁধের পরিদর্শন করে রিপোর্ট দিচ্ছে। বংশীহারি, কুশমণ্ডি ও গঙ্গারামপুর ব্লকে সেচ দপ্তরের বাঁধ অক্ষত রয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)