• পরিদর্শনে ফিরহাদ হাকিম, ফোনে দুর্গতদের বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর, ‘ভূতনি, মানিকচকে সব কাজ করব’
    বর্তমান | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ ও সংবাদদাতা মানিকচক: বন্যা ও বৃষ্টিতে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে পরিস্থিতি ভয়াবহ। দক্ষিণবঙ্গে দুর্গতদের পাশে দাঁড়ালেও মুখ্যমন্ত্রী নজর রেখেছেন উত্তরবঙ্গের দিকেও। মালদহের বিস্তীর্ণ এলাকা ভাসিয়েছে গঙ্গা। টানা বৃষ্টিতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ায় পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে পাঠিয়ে দুর্গতদের সবরকম সাহায্যের পাশাপাশি পাশে থাকার বার্তাও দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি দেখতে আসার আগে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে চেষ্টা করলেন দুর্গতদের কষ্টের শরিক হতে। মৃতদের পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার পাশাপাশি ত্রাণ বণ্টনে যাতে কোনও খামতি না থাকে, তা দেখার জন্য জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।


    মানিকচক পরিদর্শনে গিয়ে এদিন ভূতনি সেতুতে দাঁড়িয়েই মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেন ফিরহাদ হাকিম। লাউড স্পিকার অন করে সাউন্ড বক্স দিয়ে দুর্গতদের মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা শোনান তিনি। ভূতনিবাসীকে মমতা বলেন, নৌকায় পারাপার করতে গিয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দয়া করে কেউ নৌকায় যাতায়াত করবেন না। গবাদিপশু আটকে গেলে সরকার দিয়ে দেবে, কিন্তু আগে প্রাণ বাঁচান। ভূতনি, মানিকচকে প্রত্যেকটা কাজ আমরা করব। সাত, আটজনকে পাঠিয়েছিলাম। সরকারের আধিকারিকরা সার্ভে করে এসেছেন। আজ ববিকে পাঠানো হয়েছে।


    মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ডিএম, এসপিদেরও ত্রাণ নিয়ে বারবার সতর্ক করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বার্তা, যা আছে তা দিয়েই মানুষকে সাহায্য করুন। যতক্ষণ না সবাই বাড়িতে ফিরতে পারছেন, সাহায্য যেন বন্ধ না হয়। তিনি বলেন, রবিবার জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করব।


    এদিন ফোনে বারবার অভিভাবকের মতো বাসিন্দাদের সতর্ক করেন মুখ্যমন্ত্রী। গ্রামবাসীদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, জানি আপনাদের কষ্ট হচ্ছে। ভূতনিতে প্রতি বছরই এই সমস্যা 


    হয়। ব্রিজটা ভেঙে যাওয়ায় দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। ভরসা রাখুন, ব্রিজ তৈরি করে দেব। ববিকে পাঠিয়েছি। কিছু বলার থাকলে ওকে বলুন, সব শুনে নেব। 


    শনিবার সকালে মালদহে পৌঁছে মহানন্দা ভবনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক সারেন ফিরহাদ। সেখান থেকেই সোজা চলে যান মানিকচক ব্লকে গঙ্গার জলে প্লাবিত ভূতনিতে। সেখানেই ডিঙি উলটে মৃত দুই যুবকের বাবা ও  মায়ের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। 


    ফিরহাদ বলেন, গঙ্গা ভাঙনে বাঁধটা ভেঙে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলছেন, গঙ্গা ভাঙন রোধে কেন্দ্র ইতিবাচক ভূমিকা নিক। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, কেন্দ্র বাংলাকে বঞ্চিত 


    করছে বলে ভাঙন সমস্যার স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না। ভাঙন না হলে 


    এই বাঁধের ক্ষতি হতো না। বাসিন্দাদেরও এই দুর্ভোগের শিকার হতে হতো না। - নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)