• স্কুলের বেহাল অবস্থা, সংস্কারের প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা পকেটে ভরেছেন হেডমাস্টার!
    ২৪ ঘন্টা | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সৌরভ চৌধুরি: প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিড ডে মিল ও স্কুল সংস্কারের প্রায় ৭০ লক্ষ টাকার দুর্নীতির অভিযোগ।

    দীর্ঘদিন ধরে স্কুলের অবস্থা বেহাল। খসে পড়েছে ছাদের চাঙর, বৃষ্টি হলেই ক্লাসরুমে জল পড়ে। নেই পর্যাপ্ত পানীয় জল। বিদ্যুৎ এর তার সুতোর মতো ঝুলছে। যে কোনও সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এই অবস্থায় ক্লাস করাচ্ছেন স্কুলের শিক্ষকরা। নোংরা আবর্জনায় ভর্তি স্কুল চত্বর। অপরিষ্কার, অস্বাস্থ্যকর শৌচালয়। বিনপুর এক নম্বর ব্লকের হাড়দা রামকৃষ্ণ হাইস্কুলের এমনই চিত্র। 

    মেরামতের কোনও ব্যবস্থা নেই স্কুল কর্তৃপক্ষের। স্কুলের বেহাল অবস্থায় ক্ষুব্ধ ছাত্র-ছাত্রীরা। মিড ডে মিল, স্কুলে নিজস্ব ফান্ড-সহ একাধিক জায়গায় গরমিল। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন স্কুলের শিক্ষকরা। ইতোমধ্যে এই বিষয় নিয়ে ডিআই এর কাছে স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ দায়ের করেছেন। 

    দীর্ঘদিন ধরেই এই অবস্থা চলছে স্কুলের বারংবার প্রধান শিক্ষককে জিজ্ঞাসা করলে কোনও উত্তর মিলছে না। মিড ডে মিলের টাকা থেকে স্কুল ডেভলপমেন্টের টাকা হেডমাস্টার নিজের পার্সোনাল অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করাচ্ছেন এমনই তথ্য প্রমাণ মিলেছে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে সেই সমস্ত তথ্য প্রমাণ নিয়ে ডি আই এর কাছে অভিযোগও করেছে স্কুলের শিক্ষকেরা। যদিও প্রধান শিক্ষক সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ডিআই এর বক্তব্য, বিষয়টা তিনি খতিয়ে দেখবেন।

    উল্লেখ্য, অন্যদিকে স্কুল চালাতে কঠোর হন প্রধান শিক্ষিকা, কথায় কথায় ডাকেন পুলিস, 'মানসিকভাবে হেনস্থা' করেন সবাইকে। তাই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ সহশিক্ষিকা ও অশিক্ষা কর্মচারীদের। পঠন-পাঠন লাটে তুলে বিক্ষোভে সামিল স্কুল পড়ুয়ারাও। শ্রীরামপুর রমেশ চন্দ্র গার্লস হাইস্কুলের ঘটনা। বিক্ষোভের খবর পেয়ে স্কুলে জড়ো হন অভিভাবকরা। বিক্ষোভকারী শিক্ষিকাদের সঙ্গে তাঁদের তুমুল বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। প্রধান শিক্ষিকা এবং সহশিক্ষিকাদের এই দ্বন্দ্বের ফলে স্কুলে পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন অভিভাবকরা।

    প্রধান শিক্ষিকা লোপামুদ্রা সাঁতরাকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, স্কুলের কম্পিউটার অপারেটর লাগাতার তাঁর কাজে ভুল করেন। সেই বিষয়ে তাঁকে বলতে গেলে অশিক্ষা কর্মচারীরা এবং স্কুলের সহ শিক্ষিকাদের একাংশ প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে চরাও হন। তাই এই বিষয়ে একটি মিটিং ডাকেন প্রধান শিক্ষিকা। সেখানেই স্কুলের কেরানি সুব্রত মুখোপাধ্যায় তাঁকে হেনস্থা করতে থাকেন। তাই তিনি পুলিসে খবর দেন। এরই প্রতিবাদে স্কুলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন সহশিক্ষিকা ও অশিক্ষা কর্মচারীরা। 

     

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)