আর জি কর-কাণ্ডে বিচারের দাবিকে সামনে রেখে শনিবারও পথে নামল বিভিন্ন সংগঠন। সেই সঙ্গে, বিরোধীরা এ দিনও স্বাস্থ্য দুর্নীতি-সহ নানা বিষয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে।
সুরেন্দ্রনাথ ল’কলেজের প্রাক্তনীদের ডাকে এ দিন কলেজ স্ট্রিট থেকে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় পর্যন্ত মিছিল হয়েছে। যোগ দিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী, সুমিত্রা নিয়োগী, তপন আগরওয়াল, আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়েরাও। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে অমিতাভ বলেছেন, “সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই স্বাস্থ্য দফতরের পাহাড়-প্রমাণ দুর্নীতি, মর্গ থেকে অঙ্গ চোরাচালানের কথা বলেছে। অথচ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, কিছুই জানতেন না। সেটা হলে ওঁর পদত্যাগ করা উচিত।” একই দাবিতে এ দিন পথে নেমেছিল আরএসপি-র যুব সংগঠন আরওয়াইএফ। সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মিছিল করে লেনিন মূর্তির সামনে গিয়ে অবস্থান-বিক্ষোভ করেন।
চলমান আন্দোলনের মধ্যেই ধর্মতলা-সহ কলকাতার বেশ কিছু জায়গায় জমায়েতে পুলিশের নিষেধাজ্ঞা, ‘রাত দখল’ আন্দোলনে যোগদানকারীদের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা মামলা’-সহ নানা ঘটনার প্রতিবাদে এ দিন মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর-এর ডাকে কলেজ স্ট্রিটেও নাগরিক সভা হয়েছে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত শূরের অভিযোগ, আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় অনেককে কর্মস্থলেও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রতিবাদসভা থেকে ‘হুমকি-প্রথা’র বিরুদ্ধেও সরব হন নাগরিকেরা। সেই সঙ্গে, আগামী ২ অক্টোবর কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত জুনিয়র ডাক্তারেরা যে মিছিল ও সমাবেশের ডাক দিয়েছেন, তাতে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছে এপিডিআর।