ভরা বর্ষায় বাইরে ঝড়-বৃষ্টি হলে, মেট্রোর একাধিক স্টেশনের ভিতরেও তার আঁচ এসে পড়ছে। উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোর সম্প্রসারিত অংশে মাটির উপরে থাকা একাধিক স্টেশন ছাড়াও নিউ গড়িয়া-রুবি মেট্রোপথের সদ্য পরিষেবা শুরু হওয়া একাধিক স্টেশনের ছাদ থেকে জল পড়ার সমস্যা রয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে।
শুধু তা-ই নয়। আরও অভিযোগ উঠছে, নিউ গড়িয়া লাগোয়া কবি সুভাষ থেকে টালিগঞ্জ সংলগ্ন মহানায়ক উত্তমকুমার পর্যন্ত পথে একাধিক মেট্রো স্টেশনের টিকিট কাটার অংশে পৌঁছনোর পরিসরের বিভিন্ন জায়গায় উপর থেকে জল চুঁইয়ে পড়ছে। বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পরেও এমনটা ঘটছে বলে দাবি। যাত্রীদের আসা-যাওয়ার রাস্তা, বুকিং কাউন্টারের কাছাকাছি দাঁড়ানোর জায়গা— সর্বত্র একই সমস্যা তৈরি হয়েছে। দেখা গিয়েছে, মেট্রো কর্তৃপক্ষ প্রায়ই বড় বড় প্লাস্টিকের বালতি বসিয়ে ওই জল ছড়িয়ে পড়া ঠেকানোর চেষ্টা করেন। আদতে একাধিক জায়গা থেকে জল চুঁইয়ে পড়ার এই বিপত্তি মেট্রোর স্বাভাবিক কাজকর্মেও ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে বলে অভিযোগ। জল পড়ে বিপত্তির আশঙ্কায় প্রায়ই চলমান সিঁড়িও বন্ধ রাখার মতো পরিস্থিতি হয়। কয়েকটি স্টেশনে জল মেঝেয় এতটাই ছড়িয়ে পড়ে যে, তার কারণে যাত্রীদের পিছলে পড়ে যাওয়া ঘটনাও ঘটেছে। মেট্রো স্টেশনের ডোর ফ্রেম মেটাল ডিটেক্টর, স্বয়ংক্রিয় টোকেন ভেন্ডিং মেশিন এবং প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের স্বয়ংক্রিয় গেটের মতো প্রযুক্তিনির্ভর জিনিসের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও থাকে এই চুঁইয়ে পড়া জলের কারণে।
মেট্রো সূত্রের খবর, নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রোপথে রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের তত্ত্বাবধানে তৈরি হওয়া একাধিক স্টেশনে ছোট-বড় নানা সমস্যা আছে। কবি সুভাষ, কবি সুকান্ত ছাড়াও সব স্টেশনেই ছাউনি থেকে কম-বেশি জল পড়ার সমস্যা রয়েছে। এ ছাড়া কবি সুভাষ-দক্ষিণেশ্বর মেট্রোপথে মাটির উপরে থাকা স্টেশনগুলির বহু জায়গায় জল চুঁইয়ে পড়ছে। ট্রেন চলাচলের যে উড়ালপথ রয়েছে, সেখান থেকে নীচের তলার যাত্রীদের আসা-যাওয়ার এলাকায় (লোয়ার কনকর্স) জল চুঁইয়ে পড়ছে। ওই মেট্রোপথে, কবি সুভাষ, শহিদ ক্ষুদিরাম, কবি নজরুল, গীতাঞ্জলি, মাস্টারদা সূর্য সেন-সহ সব স্টেশনে ওই সমস্যা আছে। মেট্রোর কর্তাদের একাংশের দাবি,সমস্যা সম্পর্কে তাঁরা ওয়াকিবহাল। কী ভাবে পর্যায়ক্রমে ওই সব ত্রুটি মেরামত করা যায়, তার চেষ্টা চলছে।