সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তার-নার্সদের ওপর হামলার প্রতিবাদে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সুপ্রিম কোর্টের রায় পছন্দমতো না হলে সোমবার বিকেল থেকেই কর্মবিরতিতে যাবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। রবিবার নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের বিরুলিয়া বাজারে মন কি বাত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, 'মমতা ব্যানার্জি যতক্ষণ মুখ্যমন্ত্রী থাকবে ততক্ষণ এটা হবে। মমতা ব্যানার্জিই তো এর মূল কারণ।' এরপর তিনি মহারাষ্ট্রের এনকাউন্টার প্রসঙ্গ তুলে বলেন, 'মহারাষ্ট্রের বদলাপুরে কিভাবে রাম নাম সত্য হে করে দিয়েছে ধর্ষককে। আর এখানে মমতা ব্যানার্জি ধর্ষকদের প্রোটেকশন দেন। খুবই লজ্জার ডাক্তার, ধর্ষক, পুলিস সবাই জেলে।' অসমের প্রসঙ্গও তোলেন তিনি। পাশাপাশি, হুমায়ুন কবীরের বক্তব্য নিয়ে তিনি বলেন, 'উনি সবসময় বিতর্কিত কথা বলেন। ইউসুফ পাঠানকে যখন প্রার্থী করেছিল মমতা ব্যানার্জি, তখনও বলেছিলেন। বাজার মাত করার জন্য এসব কথা বলেন। বিজেপি সরকার এলে এসব লোককে উল্টো দিক করে ঝুলিয়ে কি করে সোজা করতে হয় সেটা দেখাবো'।
উল্লেখ্য, শনিবার জুনিয়র ডাক্তারদের হুমায়ুন কবীর বলেন, 'ওদের গণতন্ত্রে ওরা যদি এত অধিকার পেয়ে যান, সাড় সাত হাজার ডাক্তার যদি এত ক্ষমতাবান হয় তাহলে আমি বলেছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ভাঙাব না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নেব না, তৃণমূলের কোনও পতাকা নেব না। প্রয়োজন যেদিন দেখা দেবে সেদিন বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজে হুমায়ূন কবীর একার ক্ষমতায় ২ ঘণ্টার নোটিসে ১০ হাজার লোক নিয়ে গিয়ে দেবাংশু ঘোষের মতো ডাক্তারের সঙ্গে বোঝপড়া করার ক্ষমতা হুমায়ূন কবীরের আছে। শুধু কথা বলার জন্য আমার নামে যদি এফআইআর করে দিতে পারে তাহলে তা বোঝাপড়া করার ক্ষমতা আমার আছে।' তিনি আরও বলেন, 'ওরা যত খুশি মিছিল করুক। এক হাজার লোক নিয়ে মিছিল করলে আমি ৫ হাজার লোক নিয়ে মিছিল করব। ওদের মেডিক্যাল কলেজে ঘিরে রেখে দেব। মেডিক্যাল কলেজ ঘেরাও করে রাখব। নেত্রী নিষেধ করলেও শুনব না। আমার বিরুদ্ধে এফআইআর করার হিম্মত কোথা থেকে পায়? আমার আর কিছু পাওয়ার নেই। কিন্তু এরা ডাক্তার? ৫০টা ডাক্তারকে ঘরে ঢোকাতে ২ মিনিট লাগবে। আর প্রশাসনও আমার বিরুদ্ধে কী করে দেখব।'