• ভয়ংকর! সিজার করতে গিয়ে এ কী করে ফেললেন চিকিত্‍সক...
    ২৪ ঘন্টা | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • চিত্তরঞ্জন দাস: চিকিৎসার গাফিলতিতে প্রসবের সময় কাটল প্রসূতির মূত্রথলি, পরে মৃত্যু প্রসূতি মহিলার। এই অভিযোগে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তুমুল বিক্ষোভ, পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তি মৃতা পরিবার-সহ এলাকাবাসীদের।

    মূল প্রবেশদ্বার বন্ধ করে শুরু হয় বিক্ষোভ, ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিস বাহিনী পরিস্থিতি সামাল দিতে সঙ্গে কমব্যাট ফোর্স। মৃতা প্রসূতির ইসরাত জাহান (২৮)। পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর থানা এলাকার বেনাচিতির মসজিদ মহল্লা এলাকার বাসিন্দা। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, চলতি মাসের ২০ তারিখ সন্তান প্রসবের জন্য শোভাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন ইসরাত জাহান। ২১ তারিখ সন্তান প্রসবের জন্য অস্ত্রপ্রচার করা হয়। তখনই ভুল অস্ত্রোপচার করে ইসরাতের মূত্রথলি কেটে ফেলে চিকিৎসকরা বলে অভিযোগ । তারপর থেকে টালবাহানা করতে থাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 

    ইসরাতের কিডনি ফেল এবং সুগার,প্রেসার বেড়ে গিয়েছে বলেও অজুহাত দিতে থাকে। শনিবার সন্ধ্যায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলে ইসরাতের মৃত্যু হয়েছে। এইভাবে ভুল চিকিৎসা করে কেন মেরে দেওয়া হল ইসরাতকে তার জবাব দিতে হবে এবং ইসরাতের আরও দুই সন্তান রয়েছে তাদের ভবিষ্যতের জন্য পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি তুলে তুমুল বিক্ষোভে পরিবার-পরিজনেরা এবং এলাকাবাসীদের । যতক্ষণ না পর্যন্ত এর কোনও বিহিত হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত বিক্ষোভ চলবে বলে হুঁশিয়ারি দেন। মৃতা প্রসূতির দাদা ফিরোজ আলির অভিযোগ,"জুনিয়র চিকিৎসকদের দিয়ে অস্ত্রপ্রচার করানো হয়েছে। আর ভুল অস্ত্রোপচার করে বোনকে মেরেই ফেললো ওরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিজেদের দোষ ঢাকতে বলছে কিডনি ফেল হয়েছে, সুগার-প্রেসার বেড়ে গিয়েছে, আরও নানান শারীরিক সমস্যার জন্য এই মৃত্যু। সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলছে ওরা। পায়ে হেঁটে ভর্তি হয়েছিল বোন। তাকে ভুল চিকিৎসা করে মেরে ফেলল। আমরা তদন্ত চাইছি। চিকিৎসকদের শাস্তি চাইছি। বোনের দুই সন্তানের ভবিষ্যতের ক্ষতিপুরনও চাইছি। যতক্ষণ না পর্যন্ত সুরাহা হচ্ছে আমরা ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব। এই বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।"

    প্রসঙ্গত, অন্যদিকে শুক্রবার রাতে সাগর দত্ত হাসপাতালে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মারধর করেন রোগীর পরিবারের লোকজন। তারই প্রতিবাদে শনিবার সারাদিন কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের অভিযোগ, সাগরদত্ত হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের 'আরজি কর করে দেওয়ার'‌ হুমকি দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এক নার্স। এই ঘটনার সময় পুলিস কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকায় ছিল বলে দাবি ওই নার্সের।

     

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)