ঘটনাটি ঠিক কী? ধস-অতি বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। রীতিমতো ফুঁসছে তিস্তা, জলঢাকা। পরিস্থিতি এমনই যে, তিস্তা ব্য়ারাজ থেকে ৪ হাজার ৬১১ কিউসেক জল ছাড়তে হয়েছে। জারি লাল সতর্কতা। মালদহের মানিকচকে ভয়াবহ আকার নিয়েছে বন্যা ও ভাঙন। ভুতনীর চরে ৩ গ্রাম পঞ্চায়েত এখন জলের তলায়। বন্যার জলে তলিয়ে দিয়েছেন মানুষ। কতজন? সরকারিভাবে ৯।
আজ, ররিবার দুপুরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গে রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী। বিমানবন্দরে সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়ে ফের কেন্দ্রকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছেন বাগডোগরায়। শিলিগুড়ির উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠক করবেন মমতা। জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকরা তো বটেই, বৈঠকে হাজির থাকতে বলা হয়েছে জনপ্রতিনিধিদেরও। আগামিকাল, সোমবার কলকাতা ফিরবেন মুখ্যমন্ত্রী।
বন্যাত্রাণে বঞ্চনার অভিযোগে কী প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক মহলে? রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'এর আগেও বন্যা হয়েছে রাজ্যে অবং প্রতিক্ষেত্রেই অনুদান এসেছে রাজ্যে। যদিও আমি সরকারের প্রতিনিধি নই। কারণ, কেন্দ্রে যে সরকার চলছে, সেটা বিজেপির সরকার নয়, ভারত সরকার। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অভিযোগ করছেন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে।এর উত্তর তারা দিতে পারবেন। রাজ্যের পক্ষ থেকে যোগযোগ করা হয়েছিল কিনাস, আদৌও সচিবস্তরে কথা হয়েছে কিনা, আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব নয়, আমরা জানি না। কেন্দ্রীয় সরকার কোনও রাজ্য বন্যাপীড়িত হয়ে যাবে, কেন্দ্র সেখানে সাহায্য করবে না। প্রধানমন্ত্রী এতটা অসংবেদনশীল, অসিষ্ণু, প্রতিহিংসাপরায়ণ নন। ফলে আমরা এ ব্যাপারে নিশ্চিত. কেন্দ্র বন্যা বিধ্বস্ত পশ্চিমবঙ্গের পাশে দাঁড়াবে। রাজনৈতিক বিভাজন, রাজনৈতিক বক্ৃতা চলতেই থাকবে'।
সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের কটাক্ষ, 'অভিযোগ করছেন কেন! তার তো খুশি হওয়া উচিত। তিনিই বলেছিলেন, যখন বাম সরকার ক্ষমতায় ছিল যে, বন্যাত্রাণে সাহায্য করবেন না, এসব মেনমেড বন্যা। তিনিই বলেছিলেন, যখন বাম সরকার ক্ষমতায় ছিল যে, বন্যাত্রাণে সাহায্য করবেন না, এসব মেনমেড বন্যা। আজকে তিনি খুশি হবেন, তাঁর নির্দেশি পথেই তাঁর গুরু মোদী চলেছেন'। সঙ্গে পরামর্শ, 'বন্যাত্রাণে যদি সাহায্য না করে, তথ্য দিন আমাদের। আমরা দেখিয়ে দেব কীভাবে আদায় করতে হয় আইনসম্মতভাবে। বক্তৃতা করে, হইচই করে রাস্তা গরম করার দরকার নেই'।