অর্ণব দাস, বারাসত: সকালের মিঠে রোদ। গাছের ডাল থেকে টুপ করে পড়া শিউলি। ঘাসের ডগায় জমে থাকা শিউলি জানান দেয় পুজো এসেছে। হাতে বাকি মাত্র কয়েকদিন। এবার সেই মহাযজ্ঞে সামিল হতে এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা জমিয়ে প্রথম বছরের দুর্গাপুজোর আয়োজন করছেন দত্তপুকুরের কালাচাঁদ পাড়া অধিবাসীবৃন্দের মহিলারা। পুজোর আলোচনায় প্রাথমিক পর্যায়েই এই বিষয়ে ঠিক করা হয়েছিল। শেষে তাতেই সম্মতি দেন সকল সদস্যা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কালাচাঁদ পাড়ায় প্রায় আড়াই হাজার মানুষের বসবাস। এই এলাকায় দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে একটি পুজো হয়। তবে এবছর পাড়ার মহিলারা ঠিক করেন তাঁরাও করবেন উমার আরাধনা। সেইমত প্রথমে কয়েকজন মিলে পুজোর প্রস্তুতি শুরু করলে ধীরে ধীরে সদস্য সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৭০ জন। তার পর কমিটির সমস্যারা সিদ্ধান্ত নেন, যেহেতু তিন বছর ধরে প্রতিমাসে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পেয়ে হাত খরচ চালাচ্ছেন। তাই এ বছর সেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের এক মাসের টাকা দিয়েই তাঁরা প্রথম বছরে পুজো আয়োজন করবেন। এই ভাবনা থেকেই অধিকাংশ সদস্য চলতি মাসের টাকা দিয়ে ইতিমধ্যেই পুজোর কাজ আরম্ভ করছেন। যাঁরা বাকি তাঁরাও পরের মাসের টাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢুকলে দিয়ে দেবেন বলেও জানিয়েছেন পুজো কমিটিকে।
পুজো কমিটির সম্পাদিকা নন্দিতা সিকদার জানান, আমরা ৭০ জন মিলে একমাসের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকায় প্রথম বছরের পুজো করব বলে ঠিক করেছি। পুজোর সব ব্যবস্থাপনাই মহিলারাই রয়েছি। সাধারণভাবেই পুজোর আয়োজন হচ্ছে। মা দুর্গার সাজ থাকবে ডাকের।
পুজোর মরসুমে আর জি করের ঘটনায় নিয়ে অনেকেই উৎসবে সামিল না হওয়ার ডাক দিয়েছেন। এরমধ্যেই কালাচাঁদ পাড়া অধিবাসীবৃন্দের মহিলা আয়োজিত প্রথমবারের পুজো নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে বিভিন্নমহলে। এনিয়ে সম্পাদিকা বলেন, “আমরা পুজো কমিটির মহিলারাও আর জি করের ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি উৎসবও করছি। কারণ বহু মানুষ রোজগারের আশায় দুর্গোৎসবের দিকে তাকিয়ে থাকেন।”