কঙ্কালীতলা মন্দিরে হাপুস নয়নে কান্না, কার জন্য পুজো দিলেন অনুব্রত?
এই সময় | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
মা কালীর ভক্ত তিনি। বাড়িতে জাঁকজমক করে পুজোর আয়োজন করেন। জেলমুক্তির পর প্রথম বীরভূমের সতীপীঠ কঙ্কালীতলা মন্দিরে গেলেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। মায়ের পুজো দিলেন। মায়ের মূর্তির সামনে আবেগপ্রবণ হতেও দেখা গেল তাঁকে।রবিবার মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে নিয়ে শক্তিপীঠে যান অনুব্রত। প্রার্থনা করার সময় হাপুস নয়নে কাঁদতে দেখা যায় তাঁকে। প্রায় ১৮ মাস তিহার জেলে বন্দি ছিলেন অনুব্রত। জেলে থাকতে হয়েছে তাঁর মেয়ে সুকন্যাকেও। জেল থেকে বাড়ি ফেরার পর পার্টি অফিস ছাড়া বাইরে কোথাও যেতে দেখা যায়নি তাঁকে। রবিবার সকাল সকাল মেয়েকে সঙ্গে করে চলে আসেন বীরভূম প্রসিদ্ধ কঙ্কালীতলা মন্দিরে।
পুজো দেওয়ার পর বেরিয়ে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘মায়ের কাছে মেয়ে সুকন্যা, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য পুজো দিলাম।’ মন্দির সংস্কারের কাজের ব্যাপারেও জানান তিনি। অনুব্রত বলেন, ‘কঙ্কালীতলায় বেশ কিছু কাজ বাকি আছে। দুর্গাপুজোর পরে সেই সব কাজ শুরু হবে।’
অনুব্রত মণ্ডলের শারীরিক অবস্থার ভালো নেই। যেখানেই যাচ্ছেন নিজের মেয়েকে সঙ্গে নিয়েই যাচ্ছেন। বিশেষ করে পায়ের একটি সমস্যায় ভুগছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। কয়েকদিনের মধ্যে কলকাতায় চিকিৎসা করাতে আসার কথা রয়েছে তাঁর। বাড়ি ফেরার পর এর আগে নিজের গ্রামের বাড়ি হাটসেরান্দিতে নিজের কন্যাকে সঙ্গে করে গিয়েছিলেন তিনি। প্রতি বছর পুজোতে এখানেই কাটান অনুব্রত। দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন তিনি। এবারের পুজোয় আর গ্রামবাসীদের ভোজ খাওয়ানোর মতো তাঁর আর্থিক সামর্থ্য নেই বলেও জানান অনুব্রত মণ্ডল।
প্রসঙ্গত, গোরু পাচার মামলায় ২০২২ সালে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। প্রাথমিকভাবে আসানসোল সংশোধনাগারে ছিলেন তিনি। গত বছর তাকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই থেকে তিহার জেলে বন্দি ছিলেন অনুব্রত। বীরভূমে রাজনীতিতে তাঁর প্রত্যাবর্তন হবে কিনা, সেই নিয়েই সন্দেহ তৈরি হয়েছিল। এরপর, গত কয়েক মাসে ইডি এবং সিবিআই উভয়ের মামলাতেই জামিন পান অনুব্রত।