কর্মবিরতির সিদ্ধান্তে অনড় সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের বিক্ষোভের মধ্যেই হাসপাতালের নিরাপত্তা বাড়ানো হল। রবিবার অবস্থান বিক্ষোভ মঞ্চে যান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। তাঁকে দেখে 'গো ব্যাক' স্লোগান দেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের দাবি, এই আন্দোলন সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক। আন্দোলনে তাঁরা রাজনৈতিক রং লাগতে দেবেন না।গত শুক্রবার সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে তিন মহিলা জুনিয়র চিকিৎসক এবং নার্সদের হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে এক রোগীর আত্মীয়দের বিরুদ্ধে। আরজি কর কাণ্ডের পর রাজ্যজুড়ে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে সরব হয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। যে পাঁচ দফা দাবিতে তাঁরা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন, তার মধ্যে এটি ছিল অন্যতম।
সাগর দত্ত হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসক ও নার্সদের নিগ্রহের পরে শুক্রবার রাত থেকেই কর্মবিরতির পথে হেঁটেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। চিকিৎসকদের অবস্থান বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন নার্সরাও। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে সুরক্ষা ব্যবস্থাও বাড়ানো হয়েছে।
এই ঘটনার সময় হাসপাতালের পুলিশ আউটপোস্টে অফিসার ছিলেন ৪ জন, ১৬ জন কনস্টেবল এবং ৪ জন সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন ছিলেন। সেই সংখ্যা বাড়িয়ে আরও ৩ জন পুলিশ অফিসার, ১২ জন কনস্টেবল-সহ মোট ৩৯ জন পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে হাসপাতালের সুরক্ষায়।
এ দিন সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেসের উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সভাপতি তাপস মজুমদার, রাজ্য স্তরের নেতা কল্লোল মুখোপাধ্যায়ও। এই ‘টিম কংগ্রেস’ অবস্থান বিক্ষোভের মঞ্চে যেতেই গো ব্যাক স্লোগান দেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তার জেরে শুভঙ্কররা ফিরে যান।
কংগ্রেসের তরফে অবশ্য দাবি করা হচ্ছে, কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে তাঁরা চিকিৎসকদের কাছে যাননি। তাঁদের কুর্নিস জানানোর জন্যই গিয়েছিলেন। চিকিৎসকদের আন্দোলনকে সমর্থনের বার্তাও দেয় রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্ব।