• ইঁদুর, গিনিপিগ, খরগোশ বেচে লক্ষ্মীলাভ রাজ্যের
    এই সময় | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • এই সময়: কারও কারও কাছে ইঁদুর মাথাব্যথার কারণ হলেও সেই ইঁদুর বেচেই লক্ষ্মীর মুখ দেখছে রাজ্য। ক’বছর ধরে কল্যাণীতে নিজেদের গবেষণাগারে ইঁদুর, গিনিপিগ, খরগোশ, হ্যামস্টার উৎপাদন করছে রাজ্য প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দপ্তর। যাদের এক কথায় বলা হয়, ‘ল্যাব অ্যানিম্যাল’।মূলত গবেষণার কাজেই এগুলিকে ব্যবহার করা হয়। বাজারে এদের চাহিদা ভালোই। ফলে প্রাণীগুলি বিক্রিও হচ্ছে ভালো দামে। যেমন, এক একটা ইঁদুর বিক্রি হয় ৪০০-৫০০ টাকায়। আর এ থেকেই মোটা টাকা রোজগার করছে প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের অধীন ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল লাইভস্টক ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন’।

    সরকারি হিসেব অনুযায়ী, গত আর্থিক বছরে ইঁদুর, গিনিপিগ, হ্যামস্টার বিক্রি করে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা আয় হয়েছে। সংস্থার অধিকর্তা উৎপল কুমার কর্মকার জানান, কল্যাণীর গবেষণাগারে কৃত্রিম ভাবে ইঁদুর, গিনিপিগ, খরগোশ, হ্যামস্টারের প্রজনন হচ্ছে। তারপর সেগুলি বিক্রি করা হয় বাজারে।

    বাংলা তো বটেই, ভিন রাজ্যেও এগুলির প্রচুর চাহিদা। তাঁর কথায়, ‘সাধারণ ইঁদুরের তুলনায় এই ইঁদুর একটু আলাদা। এদের শরীরে কোনও জীবাণু থাকে না, এরা সম্পূর্ণ রোগমুক্ত। এদের খাবারের দাম কেজি প্রতি সাড়ে তিন হাজার টাকা।’

    পাশাপাশি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য কল্যাণীতে একটি হাইটেক ল্যাবরেটরিও গড়ে তুলছে লাইভস্টক ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন। সামান্য খরচে এই ল্যাব ব্যবহার করতে পারবেন বাইরের গবেষকরা। ওষুধ কোম্পানিগুলিও এর সুবিধে নিতে পারবে। এ ছাড়া সেখানে কুকুরের লিভার ফাংশন, কিডনি ফাংশন টেস্ট, কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট-সহ নানা ধরনের পরীক্ষা হবে।
  • Link to this news (এই সময়)