• এক কুইন্টাল বরফের চাঁই পড়ল আকাশ থেকে, কীভাবে? আতঙ্কে গ্রামবাসীরা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১ বা ১০ কেজি নয় আচমকা আকাশ থেকে পড়ল এক কুইন্টাল বরফের চাঁই। এমনই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে বাঁকুড়ার সিমলাপালে। একইসঙ্গে আতঙ্কিত স্থানীয়রা। কীভাবে আকাশ থেকে এত বড় বরফের টুকরো পড়ল তা বুঝে উঠতে পারছেন না বিজ্ঞানীরাও। শনিবার সকালে সিমলাপাল ব্লকের ছোট রামবনি গ্রামে একটি চাষের জমিতে বিশাল আকার এই বরফের টুকরো আকাশ থেকে ভেঙে পড়ে। যদিও ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। তবে কোনও বাড়ি বা কারও উপরে পড়লে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো।


    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে চাষের জমিতে কাজ করছিলেন কয়েকজন কৃষক। সেই সময় আচমকা তারা বিকট শব্দ শুনতে পান। তখন তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন বিশালাকার এই বরফের টুকরো পড়ে রয়েছে। মাটিতে পড়ার ফলে সেটি ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায়। একজন কৃষক জানান, কয়েক দিনের বৃষ্টির পর শনিবার রোদ ওঠায় মাঠে কাজে গিয়েছিলেন কয়েকজন কৃষক। প্রথমে কাজ করার সময় তারা বাতাস চলার মতো শব্দ শুনতে পান। সেই শব্দ শোনার পরে আকাশের দিকে তাকালে দেখতে পান সাদা রংয়ের একটি বস্তু আকাশ থেকে নিচে পড়ছে। তা দেখে কার্যত আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তারা। সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে বস্তুটি নিচে পড়লে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন সেটি আসলে এটি বরফের চাঁই। যে জায়গায় এই বরফ পড়েছিল সেখানে কিছুটা গর্ত হয়ে গিয়েছিল। সেখানে বরফের টুকরো ছড়িয়ে ছিল।

    এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল পড়ে যায় গোটা এলাকায়। খবর পেয়ে অনেকে ঘটনাস্থলে দেখতে আসেন। যদিও কিছুক্ষণ পরে বরফের টুকরাটি রোদের তাপে গলে যায়। প্রত্যক্ষদর্শী এক কৃষকের কথায়, আকাশ থেকে যে বরফের টুকরো পড়েছিল তার ওজন কমপক্ষে এক কুইন্টালের কাছাকাছি। যদি এত বড় মাপের বরফ কোনও মানুষের উপরে পড়তো তাহলে যে কত বড় বিপদ ঘটতে পারে তা নিয়ে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

    এদিকে কীভাবে এত বড় বরফের চাঁই আকাশ থেকে পড়ল তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন বিজ্ঞানীরা। একটি বিদ্যালয়ের এক ভূগোল শিক্ষকের বক্তব্য, সাধারণভাবে এত বড় মাপের বরফের চাঁই বায়ুমণ্ডলের মধ্যে তৈরি হওয়া সম্ভব নয়। কারণ এত বিশালাকার বরফ তৈরি হওয়ার আগেই মধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে সেগুলি ভূপৃষ্ঠে আছড়ে পড়ে। ফলে সে ক্ষেত্রে কোনও বিমান অথবা হেলিকপ্টার থেকে এটি পড়ে থাকতে পারে বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের। 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)