কঙ্কালীতলায় পুজো দিয়ে কাঁদলেন অনুব্রত, মমতা–অভিষেকের নামে করলেন প্রার্থনা
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
কঙ্কালীতলায় আজ পুজো দিতে এসে কেঁদে ফেললেন বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মণ্ডল। রবিবার মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে সঙ্গে নিয়ে শক্তিপীঠে যান বাবা কেষ্ট। হাতজোড় করে প্রার্থনা করার সময় কেঁদে ফেলেন। আর পুজো দিয়ে মেয়ের হাত ধরে মন্দির থেকে বেরিয়ে এলেন। তখনও চোখে জল। আসলে জেলের ভিতর যে নিদারুণ কষ্ট পেতে হয়েছিল কেষ্টকে, এটা ছিল তারই বহিঃপ্রকাশ। এখন শরীরও খারাপ তাঁর। তাই দু’বছর পর জামিন পেয়ে জেলায় ফিরে বোলপুরের দলীয় কার্যালয়ে ঢোকেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। শনিবার পুলিশকর্মীদের কাঁধে ভর রেখে অনুব্রত চলতে থাকেন দেখা যায়।
নয়াদিল্লির তিহাড় জেল থেকে বোলপুরে নিচুপট্টির বাড়িতে ফিরেছেন অনুব্রত মণ্ডল। একই মামলায় সুকন্যারও জেল হয়েছিল। বাবা–মেয়ে বাড়ি ফেরার পর সবসময় তাঁদের পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে। কঙ্কালীতলায় পুজো দেওয়ার পর অনুব্রত মণ্ডল জানান, তিনি ভাল নেই। পায়ের একটি সমস্যায় ভুগছেন। কদিনের মধ্যে কলকাতায় যাবেন চিকিৎসা করানোর জন্য। কঙ্কালীতলায় বেশ কিছু কাজ বাকি আছে। দুর্গাপুজোর পরে সেই সব কাজ শুরু হবে। কঙ্কালীতলায় মায়ের কাছে মেয়ে সুকন্যা, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য প্রার্থনা করেছেন।
পায়ে এবং কোমরে সমস্যা আছে অনুব্রত মণ্ডলের। তিহাড়ে থাকার সময় এই শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। তাই বাড়ি ফিরে অনুব্রত মণ্ডল জানান, তাঁর পা ও কোমরে ‘ব্যথা’ আছে। পরদিনই পুলিশকর্মীর কাঁধে ভর দিয়ে বোলপুরের দলীয় কার্যালয়ে ঢুকতে দেখা যায় অনুব্রত মণ্ডলকে। সেই ভিডিয়ো ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে। কর্তব্যরত অবস্থায় পুলিশকর্মীরা সাহায্য করতে পারেন কি? উঠছে প্রশ্ন। বোলপুর থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে কোপাই নদীর তীরে অবস্থিত কঙ্কালীতলা। এখানে সাধকরা এসে সাধনা করেন। আবার সাধারণ মানুষ এখানে পুজো দিয়ে শান্তি পান। কেষ্টর এই কঙ্কালীতলায় পুজো দেওয়া বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
এখানে পুজো দেওয়ার সময় কেঁদে ফেলেন কেষ্ট। সেটা দেখতে পান মেয়ে সুকন্যাও। আসলে তিহাড়ে আটকে থাকায় তাঁর সম্মান নষ্ট হয়েছে বলে মনে করেন অনুব্রত। আর সেটা উপলব্ধি করেই চোখে এল জল। তবে পুজো দিয়ে বেরিয়ে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত সতীপীঠকে সাজিয়েছেন। কঙ্কালীতলাকে ঢেলে সাজিয়েছেন। এমন কোনও পীঠস্থান নেই যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর্থিক সাহায্য করেননি। তিনি বক্রেশ্বরেও টাকা দিয়েছেন। পাথরচাপড়িতে টাকা দিয়েছেন। আর এই কঙ্কালীতলায় কিছু কাজ বাকি আছে, সেটা করে দেব। মায়ের কাছে আসার জন্য ছটফট করছিলাম। আমার বাড়ির কাছে মন্দির। আসব না? আমি বীরভূম জেলার সব মন্দিরেই যাব। আমার মেয়ে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য পুজো দিলাম।’