• 'বন্ধ হতে বসেছিল' নিহত চিকিৎসকের এলাকার পুজো,মুখ্যমন্ত্রীকে বলে মিলল অনুদান:দাবি
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • আর জি করে তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর থেকেই রাজ্যজুড়ে দ্রোহের আবহ তৈরি হয়। মর্মান্তিক সেই ঘটনা এবং তার পরবর্তী ঘটনাক্রমের জেরে এবছর রাজ্যের বহু দুর্গাপুজোর উদ্যোক্তাদের তরফে রাজ্য সরকারি অনুদান নিতে অস্বীকার করা হয়। সেই প্রেক্ষাপটে বিপরীত অবস্থান নিল 'পূর্ব পানিহাটি সার্ব্বজনীন' দুর্গোৎসব কমিটি।

    'খবর ৩৬৫ দিন'-এর প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে, উপরোক্ত পুজোর উদ্যোক্তারা নিজেরাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কাছে অনুদানের জন্য আবেদন জানান। যে আবেদন ইতিমধ্যেই মঞ্জুর হয়েছে।

    সংশ্লিষ্ট সংবাদপত্রেই দাবি করা হয়েছে, আর জি করের ঘটনায় যে তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়ার অপমৃত্যু হয়েছে, 'পূর্ব পানিহাটি সার্ব্বজনীন' সেই এলাকারই একটি 'ছোট' পুজো।

    ওই প্রতিবেদন অনুসারে, প্রতি বছরই খুব কম বাজেটে পুজো সারেন 'পূর্ব পানিহাটি সার্ব্বজনীন'-এর সদস্যরা। পুজোর বাজেট খুব বেশি হলে এক থেকে দেড় লক্ষ টাকার মধ্যে থাকে। কিন্তু, এবছর সেই টাকাটুকুও জোগাড় করতে পারেননি তাঁরা।

    উদ্যোক্তাদের দাবি, এরপর তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পুজোর অনুদান চেয়ে আবেদন জানান। সেই আবেদন মঞ্জুর হয়। শনিবার ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্গত খড়দহ থানা পক্ষ থেকে উদ্যোক্তাদের হাতে রাজ্য সরকারি অনুদানের ৮৫ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়।

    সংশ্লিষ্টি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উদ্যোক্তাদের এক প্রতিনিধি এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, বড় বাজেটের পুজোগুলির তুলনায় এই ছোট পুজোগুলি একেবারেই অন্যরকম।

    এই ধরনের পুজোর ক্ষেত্রে ৮৫ হাজার টাকার অনুদান বড় একটা কম নয়। এবার পর্যাপ্ত টাকা সময় মতো সংগ্রহ করে উঠতে না পারায় উদ্যোক্তারা ভেবেছিলেন পুজো বন্ধ রাখবেন। স্বাভাবিকভাবেই তা নিয়ে উদ্যোক্তাদের তো বটেই, আশপাশের বাসিন্দাদেরও মন খারাপ ছিল।

    কিন্তু, 'রাজ্য সরকার পাশে দাঁড়ানোয়' অবশেষে সেই পুজো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুজো কমিটির ওই প্রতিনিধি। এর জন্য মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাতেও ভোলেনি তিনি।

    প্রসঙ্গত, আর জি কর কাণ্ডের আবহে কেউ কেউ এবারের মতো দুর্গাপুজো বন্ধের ডাক দিয়েছিলেন! যা নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। পরবর্তীতে সমাজের নানাস্তরের মানুষকেই বলতে শোনা যায়, পুজো হোক পুজোর মতো। কিন্তু, জাঁকজমক কম হোক।

    এইসব বিতর্ক, আলোচনার মধ্যেই অবশ্য ধীরে ধীরে দেবী দুর্গার আবাহনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে বাংলা। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে সরকারি অনুদান নেওয়া এবং না নেওয়া নিয়ে নানা কথা। 'পূর্ব পানিহাটি সার্ব্বজনীন'-এর ঘটনা তাতে বিশেষ মাত্রা যোগ করবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)