• ‘‌কর্মবিরতির হুমকি, থ্রেট কালচার নয়?’ জুনিয়র ডাক্তারদের নিয়ে প্রশ্ন কুণালের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • আবার কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আগামীকাল, সোমবার আরজি কর হাসপাতালের মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সদর্থক না হলে আবার কাজ বন্ধ করে দেবেন তাঁরা। জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির ‘হুমকি’ নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কুণাল ঘোষ। ইতিমধ্যেই সাগর দত্ত হাসপাতালে কর্মবিরতি শুরু করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাতে সাড়া দিচ্ছেন অন্যান্যরাও বলে অভিযোগ। সেখানে অবশ্য নিরাপত্তার দাবিতে কর্মবিরতি চলছে। রোগীর পরিবারের হাতে নিগ্রহ হতে হয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের। তাই এই কর্মবিরতি। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায় সদর্থক না হলে আবার কর্মবিরতি করা হবে এটাকে হুঁশিয়ারি হিসাবেই দেখছেন কুণাল। এমনকী এটাকে ‘‌থ্রেট কালচার’‌ বলে সম্বোধন করেছেন।

    কুণাল ঘোষের মন্তব্যে আবার সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য–রাজনীতি। আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। ওই ঘটনায় সুবিচারের দাবিতে পথে নেমে কর্মবিরতি করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। টানা ৪১ দিন ধরে কর্মবিরতি পালন করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। রাজ্য সরকারের সঙ্গে বেশ কয়েক দফায় বৈঠক তাঁরা করেছেন। তাঁদের বেশিরভাগ দাবিই মেনে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই দাবি মেনে নেওয়ার পর কদিন আগে কাজে ফিরেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বানভাসী গ্রামবাংলার মানুষের চিকিৎসা করার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু তার মধ্যে আবার জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দিলেন।

    এখানেই থেমে থাকেনি বিষয়টি। শনিবার রাতে বিষয়টি নিয়ে জিবি বৈঠক বসে। বৈঠক শেষে পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের প্রতিনিধিরা জানান, সোমবার সুপ্রিম কোর্টের রায় তাঁদের মনের মতো না হলে ওই দিন বিকেল ৫টা থেকে সমস্ত সরকারি মেডিক্যাল কলেজে পূর্ণ কর্মবিরতি শুরু হয়ে যাবে। এই বিষয়ে রাজ্য সরকারকে ডেডলাইন দিয়ে দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আর এটাকেই ‘হুমকি’ এবং ‘‌থ্রেট কালচার’‌ বলা যায় কিনা তা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। নিজের ফেসবুক পেজে কুণাল লিখেছেন, ‘আবার কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি। তদন্তে সিবিআই, মামলা সুপ্রিম কোর্টে। পুজো সামনে। কর্মবিরতির হুমকি। থ্রেট কালচার নয়? পরিকাঠামো উন্নত হয়েছে, আরও কাজের চেষ্টা চলছে। তবু আবার কর্মবিরতি? কারা, কেন, কাদের কথায়, কাদের মদতে এই অস্থিরতা চাইছে?’


    কুণাল ঘোষ যে প্রশ্নগুলি তুলেছেন তার উত্তর এখনও মেলেনি। তবে জুনিয়র ডাক্তাররা যে ‘‌থ্রেট কালচার’‌ চালাচ্ছে এবং হুমকি দিচ্ছে সেটা তিনি নিজের ফেসবুক পেজে বুঝিয়ে দিয়েছেন। ৯ অগস্টের ঘটনার পর আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসকদের বিশ্রামকক্ষ, শৌচাগার তৈরির দাবি তুলে সরব হন জুনিয়র ডাক্তাররা। আর সেই কাজ করার সময়ই দু’দফায় সরেজমিনে পরিদর্শন করার পর সংশ্লিষ্ট ঘর ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই পরিদর্শন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রেও সামিল হন জুনিয়র ডাক্তাররা। শুধু তাই নয়, কার্যবিবরণীতে তিন জুনিয়র ডাক্তারের স্বাক্ষর করেন। এই বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কুণাল। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা লিখেছেন, ‘আবার কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি। অথচ বহুল প্রচারিত এই নথিগুলি সম্পর্কে নীরবতা। যাঁদের সই, সম্মতি বলে দৃশ্যমান, সত্যতা নিয়ে তাঁদের মুখেও কুলুপ।’
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)