সুপ্রিম শুনানির আগে মশাল মিছিল ডাক্তারদের, রাজপথে নাগরিক সমাজও
এই সময় | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
কারও হাতে মশাল, কারও হাতে মোমবাতি। সুপ্রিম শুনানির আগের রাতে আরজি কর কাণ্ডের বিচারের দাবিতে ফের মিছিল শহরের বুকে। ডাকাতদের সঙ্গে পায়ে পা মেলালেন সাধারণ মানুষ। কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে মোট সাতটি মিছিল হয় রবিবার।মিছিলের ফাঁকেই জুনিয়র ডাক্তাররা বলেন, ‘সোমবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানি। তার আগে রবিবার আমাদের এই কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল। আমাদের সঙ্গে সাধারণ মানুষও রাস্তায় রয়েছেন। নিরাপত্তার দাবিতে আমাদের এই প্রতিবাদ চলতে থাকবে।’
রবিবার আরজি কর হাসপাতাল থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত মশাল মিছিল করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এর সঙ্গে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ থেকে এসপ্ল্যানেড, ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ থেকে পার্ক সার্কাসের সেভেন পয়েন্ট, সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ থেকে ডানলপ এবং কেপিসি মেডিক্যাল কলেজ থেকে যাদবপুর ৮বি বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত মিছিল করা হয়।
জুনিয়র ডাক্তারেরা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁরা কর্মবিরতি আংশিক তুলে নিলেও প্রতিবাদ চলতে থাকবে। সেইমতো পুজোর আগেও একাধিক কর্মসূচি ঘোষণা করা হয় তাঁদের। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনাই রয়েছে। তার আগের রাতেই মশাল মিছিলের আয়োজন করা হয়। এরপর আগামী বুধবার, ২ তারিখ মহালয়ার দিন আন্দোলনকারীরা মহামিছিলের ডাক দিয়েছেন। সেই মিছিলের পর ধর্মতলায় মহাসমাবেশ হবে। দুপুর ১টা থেকে এই কর্মসূচি শুরু হবে।
উল্লেখ্য, রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত একাধিক দাবি পেশ করা হয়েছিল রাজ্যের কাছে। তার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল। এর মাঝেই সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে নতুন করে উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। সেখানে জুনিয়র ডাক্তার, স্বাস্থ্য কর্মীদের মারধরের অভিযোগ ওঠে রোগীর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। সোমবার রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে কী জবাব দেয়, সে বিষয়ে নজর রয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের। আন্দোলনকারীরা সোমবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানির পর ফের কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন। আগামীকাল সুপ্রিম শুনানির পরেই সেই সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন তাঁরা।