শক্তিগড়ে শুকনো মুড়ি খেলেন অনুব্রত, অভিষেকের সঙ্গে দেখা করবেন?
এই সময় | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
তিহাড় থেকে মুক্তি পাওয়ার পরেই অনুব্রত মণ্ডল জানিয়েছিলেন, তাঁর শরীর একেবারেই ভালো নেই। চিনি, মিষ্টি তিনি একেবারেই খাচ্ছেন না। রবিবার কঙ্কালীতলায় পুজো দিয়ে মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে নিয়ে রওনা দেন কলকাতার উদ্দেশে। পথে বর্ধমানের শক্তিগড়ে দাঁড়ায় তাঁর কনভয়। কিন্তু ‘ল্যাংচা-গড়’-এ পা রেখেও মিষ্টির ধারপাশ দিয়েও গেলেন না তিনি। শুকনো মুড়ি এবং শসায় সারলেন জলযোগ। সঙ্গে চিনি ছাড়া চা। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানালেন, এ বার নয়, তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও তিনি দেখা করবেন।যদিও এই প্রথম নয়। তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, মিষ্টির সঙ্গে তাঁর সম্পর্কে ছেদ পড়েছে অনেক আগেই। ডায়াবিটিস রোগী কেষ্ট। সংবাদমাধ্যমে একবার তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন তাঁর সুগার রয়েছে। তা নিয়ন্ত্রণে একসময় শারীরিক কসরতও করতেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা। খাবারও বাছাই করে খান তিনি। সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীনও সে বিষয় বারবার সামনে এসেছে। মশলাদার খাবার ফিরিয়ে দিতেন তিনি।
২০২২ সালের ১১ অগস্ট গোরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে জোকা ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। সেই সময় বর্ধমানের একটি দোকান থেকে জলখাবার খেয়েছিলেন তিনি। সে পথে আরও নানা কারণে বারবার যাতায়াত করেছেন তিনি। ডালপুরিও চেখে দেখেছেন। কিন্তু এ বার শারীরিক কারণেই হয়তো, একবারে শুকনো মুড়ি খেলেন বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা। কিন্তু কেন হঠাৎ কলকাতায় অনুব্রত? বীরভূমের এই নেতা জানান, ডাক্তার দেখানোর জন্যই মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন তৃণমূল নেতা কাজল শেখও। তাঁর সঙ্গে কাজলের সম্পর্কের সমীকরণ ঠিক কী হতে চলেছে, সেই দিকে নজর রয়েছে জেলা নেতৃত্বরও। এ বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘দলীয় বৈঠকের বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমে কোনও মন্তব্য করব না।’