ঘটনাটি ঠিক কী? শওকত বনাম আবাবুল। গত কয়েক দিন ধরেই ভাঙড়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসছে। বস্তুত, জেল মুক্তির পর সরাসরি শওকাত মোল্লাকে হার্মাদ বলে কটাক্ষ করেছেন আরাবুল ইসলাম। এরপর আজ, রবিবার ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জ বাজারে তৃণমূলের কর্মীসভার হল শওকতের ডাকে। উপস্থিত ছিলেন এলাকার ৫ বিধায়ক ও ১ সাংসদ।
ভাঙড় যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। এবছর লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুরের সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন সায়নী। এদিন ভাঙড়ে কর্মিসভায় তিনি বলেন, 'যাঁরা নির্বাচনের সময়ে দলেরই পিঠে ছুরি মেরেছে, তাঁদেরকে শনাক্ত করুন। যাঁরা শওকত মোল্লা সামনে বলেছে, দাদার তোমার সাথে আছি। চলে যাওয়ার পরে বসেছে, কে শওকত মোল্লা? চিনি না। আমি এখনকার বড় নেতা। তাঁদেরকে আগে শনাক্ত করুন'। এরপরই স্লোগান, 'গদ্দার হঠাও, ভাঙড় বাঁচাও'।
পাঁচ মাস পরে সম্প্রতি জামিনে মুক্ত হয়েছেন ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। গত শুক্রবার ভাঙড়ের ভোজেরহাট এলাকায় তাঁর ছায়াসঙ্গী হিসেবে পরিচিত লালুবাবু মোল্লার অফিসে ভাঙচুর করা হয়। এরপরেই আরাবুলের অভিযোগ ছিল, শওকত মোল্লার নির্দেশেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তাঁর এই মন্তব্যের পর ভাঙড় রাজনীতিতে আলোড়ন পড়ে যায়।