ঘটনাটি ঠিক কী? ধস-অতি বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। রীতিমতো ফুঁসছে তিস্তা, জলঢাকা। পরিস্থিতি এমনই যে, তিস্তা ব্য়ারাজ থেকে ৪ হাজার ৬১১ কিউসেক জল ছাড়তে হয়েছে। জারি লাল সতর্কতা। আজ, রবিবার দুর্যোগ মোকাবিলায় শিলিগুড়িতে উত্তরকন্য়ায় প্রশাসনিক বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আজকে মূলত কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলি, কালিম্পং, দক্ষিণ দিনাজপুর, উত্তর দিনাজপুর, মালদহ ও মুর্শিদাবাদ নিয়ে, যে এলাকাগুলি বন্য়ার প্লাবনে প্লাবিত হতে পারে এবং ইতিমধ্যেই হয়েছে, তাঁদের সবাইকে নিয়ে মিটিং করলাম। সব জেলাশাসক, জনপ্রতিনিধি যাঁরা আছে, জেলা পরিষদ আছে,পঞ্চায়েত সমিতি আছে, পুরসভা আছে, সবাই সতর্ক করা হল। কৌশির নদীর জল, ৬ লক্ষ কিউসেক ছেড়েছে। এই জলটা বিহারের গঙ্গা হয়ে ফরাক্কা ঢুকবে'।
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, 'ভারত সরকার বন্যায় আমাদের এক পয়সা দেয় না। যদিও ফ্লাড কন্ট্রোল বোর্ড, ফ্লাড অ্যাকশন, ফরাক্কা ব্যারেজ এগুলি ভারত সরকারের অধীনে। ফরাক্কায় ড্রেজিং করে না। ড্রেজিং করলে আরও জল ধরে রাখতে পারত। বিহারও ডোবে, বাংলায় ডোবেও। ড্রেজিং করলে, ৬ লক্ষের জায়গায় অন্তত ৪ লক্ষ ধরে রাখতে পারত। তাহলে এই জায়গাগুলিয় বন্যা কম হত'।
বন্যায় রাজ্যে প্রায় সর্বত্রই ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, 'আমাদের শস্যাবিমায় একটা সময় থাকে, প্রতিবছর ৩১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। যেহেতু সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহের বন্যাটা আসছে...ওটা বাড়িয়ে দিয়েছি, ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। বৃষ্টি যেই থেমে যাবে...শস্যাবিমার অধীনে পশ্চিমবঙ্গ সরকার দেয়, চাষীদের এক পয়সাও দিতে হয় না। তাঁরা চিন্তা করবেন না, শস্যা বিমা আপনি পাবেন'।
এদিকে শিলিগুড়ি গজলজোবায় বিদ্য়ুত্স্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন একই পরিবারের পাঁচজন। এদিন নিহতের স্বজনের হাতে ৩ লক্ষ ও ৫ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী।