সৌরভ মাজি, বর্ধমান: বীরভূমে তাঁরই গড়া দলের কোর কমিটি রয়েছে, নতুন করে কিছু হয়নি। রবিবার রাতে কলকাতায় চিকিৎসা করাতে যাওয়ার পথে পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে চা-মুড়ি খেতে দাঁড়িয়েছিলেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সেখানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমনটাই জানান সদ্য জেলমুক্ত হওয়া তৃণমূল নেতা। জানালেন খুব শীঘ্রই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও দেখা করবেন। তবে এবারের কলকাতা সফরে সেটা হবে না।
রবিবার বিকেলে বোলপুর থেকে সাদা গাড়িতে রওয়ানা হন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। কয়েকদিন আগে জামিন পেয়ে তিহাড় জেল থেকে বোলপুরের বাড়ি ফেরেন অনুব্রত। তার পর ফের নিজের জেলার বাইরে কোথাও রওনা হলেন এদিন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর মেয়ে সুকন্যাও। এদিন সন্ধেয় শক্তিগড়ে ‘ল্যাংচা হাব’-এ দাঁড়ায় তাঁর গাড়ি। শসা সহযোগে মুড়ি খান অনুব্রত, সঙ্গে চিনি ছাড়া চা। তাঁর মেয়েও টিফিন করেন। অনুব্রত বলেন, “আমি কলকাতায় ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছি। আবার ফিরে আসব। আমি আপনাদের মাধ্যমে জানাতে চাই সামনে শারদীয়া পুজো। সারা পশ্চিমবঙ্গে যে পরিমাণে বন্যা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের পাশে আছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গতদের পাশে আছেন। গোটা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ভাল থাকুক। বর্ধমান, বীরভূম আমি যেটুকু দেখি ওরা ভাল থাকুক। দুর্গাপুজো যেন সবার খুব ভাল কাটে। সুন্দরভাবে কাটে প্রত্যেক মানুষের। তার পরই লক্ষ্মীপুজো, দীপাবলি, ছটপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো। সবাই যেন ভাল থাকে।”
কলকাতায় গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করবেন? এই প্রশ্নের জবাবে অনুব্রত বলেন, “আমি নিশ্চয়ই দেখা করব। সবার সঙ্গেই দেখা করব। তবে এবার নয়। আমার ঘরে দুর্গাপুজো আছে। এবার ডাক্তার দেখিয়ে চলে আসব। আমি দুই বছর নেই, বুঝতেই পারছেন।” তিনি বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি পদে রয়েছেন। সেখানে কোর কমিটিও রেখেছে দল। সেই বিষয়ে প্রশ্নে অনুব্রত বলেন, “কোর কমিটি তো আগেও ছিল। আমি বীরভূম জেলা সভাপতি হয়ে থেকেই কোর কমিটি আছে। আমি তৈরি করেছি। সেটাই আছে। নতুন কোর কমিটি তো হয়নি।”