ফের হেনস্থার শিকার ডাক্তাররা, সাগর দত্তের পর ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ
এই সময় | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ফের রোগীর পরিজনদের হাতে হেনস্থার শিকার জুনিয়র ডাক্তাররা। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের পর এ বার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ। ঘটনায় নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা। বেনিয়াপুকুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।ঘটনাটি ঘটে রবিবার ভোররাতে। কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে হাতে একটি গভীর ক্ষত নিয়ে হাজির হন এক রোগী। সঙ্গে রোগীর পরিজনেরা ছিলেন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সার্জারি ওয়ার্ডে ৫ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক হাজির ছিলেন। তাঁরা রোগীর ক্ষত পরীক্ষা করে জানান, রোগীর অপারেশন করতে হবে। তবে, রোগীর পরিজনেরা জানান অপারেশন তাঁরা করাবেন না। ক্ষতস্থানে চিকিৎসা করে ব্যান্ডেজ বেঁধে ছেড়ে দিতে হবে।
রোগীকে দেখে চিকিৎসকেরা জানান, সেটা সম্ভব নয়। রোগীর অস্ত্রোপচার করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এরপরেই বচসায় জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ। অভিযোগ, এরপরেই গালিগালাজ করতে থাকেন রোগীর পরিবারের একাধিক সদস্য। ডাক্তারদের অভিযোগ, তাঁদের হেনস্থার মুখে পড়তে হয়। তাঁদের প্রাণহানির হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। ডাক্তারদের দাবি, আশেপাশে পুলিশ থাকলেও তারা ‘নিষ্ক্রিয়’ ছিল।
বিষয়টি নিয়ে বেনিয়াপুকুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। রোগীর পরিবারের অনেকেই মত্ত ছিলেন বলেও অভিযোগ। দুই পক্ষের বচসার পর পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে, চিকিৎসকদের দাবি এভাবে চলতে থাকলে হাসপাতালে কাজ করতে নিরাপত্তার অভাববোধ করছেন তাঁরা। পুলিশ থাকার পরেও যদি এরকম ঘটনা ঘটে, তাহলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কোথায়? প্রশ্ন তুলেছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকদের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।
প্রসঙ্গত, দু’দিন আগেই উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসকদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। এক রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে অশান্তি তৈরি হয়। একাধিক চিকিৎসককে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। এরপর থেকেই হাসপাতালে কর্মবিরতি চালিয়ে আসছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সাগর দত্ত হাসপাতালের ঘটনার পর রাজ্য জুড়ে ফের পূর্ণ কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন।