মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কবে দেখা করবেন কেষ্ট? শক্তিগড়ে বাতলে দিলেন মাহেন্দ্রক্ষণ
হিন্দুস্তান টাইমস | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
এই পথ ধরেই তাঁকে নিয়ে গিয়েছিল সিবিআই। গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। তারপর কলকাতা থেকে আসানসোল এবং পরে তিহাড় জেল। গত দু’বছর সেখানেই কেটেছে তাঁর। অবশেষে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণের অভাবে জামিন পেয়ে বীরভূমে ফিরেছেন। তাঁর মেয়েকেও তিহাড় জেলে থাকতে হয়েছিল। হ্যাঁ, তিনি বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট। আজ, রবিবার কেষ্ট রওনা দিয়েছেন কলকাতায়। চিকিৎসা করাবেন বলে। রবিবার সন্ধ্যায় বোলপুর থেকে কলকাতা যাবার পথে তাঁর গাড়ি দাঁড়াল শক্তিগড়ে। সেখানে টিফিন করলেন। তবে চিনি ছাড়া চা আর সঙ্গে শশা দিয়ে মুড়ি। রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় কেষ্ট মণ্ডলের মেনু একেবারে সাধারণ।
ল্যাংচা খেতে ভালবাসলেও খেলেন না। সংযম করলেন। আসলে শরীরটা ভাল নয়। তার পর গাড়ি আবার ছুটল কলকাতার অভিমুখে। কলকাতায় গিয়ে কি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করবেন? এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজ্য–রাজনীতিতে। তবে এবার আর রেস্তোরাঁয় ঢুকে খাবার খাননি। গাড়িতে বসেই খেলেন খাবার। আধঘণ্টা অনুব্রত মণ্ডল গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের সামনে শক্তিগড়ের ল্যাংচা হাবে। কিন্তু ছুঁয়েও দেখলেন না। কলকাতায় গিয়ে কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করবেন? প্রশ্ন শুনে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘বাড়িতে দুর্গাপুজো আছে। তাই এবার কলকাতায় চিকিৎসা করিয়েই বাড়ি ফিরব। পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করব। দেখা করব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও। গোটা রাজ্যে মারাত্মক বন্যা হয়েছে। মানুষের পাশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন। সবাই ভাল থাকুন। ভাল করে দুর্গাপুজো কাটুক।’
মেয়ে সুকন্যাকে সঙ্গে নিয়েই আজ কলকাতায় যান অনুব্রত মণ্ডল চিকিৎসার জন্য। কেষ্টর বক্তব্য, ‘এখন পর পর উৎসব আছে। দুর্গাপুজোর পর লক্ষ্মীপুজো হবে। তারপর কালীপুজো হবে। ছট ও জগধাত্রী পুজোও হবে। এখন ভাল করে দুর্গাপুজো কাটান।’ কোর কমিটির বৈঠকে যাবেন? কেষ্টর জবাব, ‘আগেও ছিল কোর কমিটি। তখনও আমি জেলা সভাপতি ছিলাম। এখনও আমি জেলা সভাপতি। কোর কমিটি আছে। আর দলের মিটিংয়ে কী আলোচনা হয়েছে সেটা বাইরে কেন বলব?’ জেলের যাওয়ার আগে পর্যন্ত পূর্ব বর্ধমানের তিনটি বিধানসভা আউশগ্রাম, মঙ্গলকোট এবং কেতুগ্রাম দেখতেন কেষ্ট। তাঁর উপরই দায়িত্ব ছিল। কিন্তু সমীকরণ পাল্টে গিয়েছে। এগুলি এখন দেখেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়।
আজ রবিবার দুপুরে বাড়ির কাছে শক্তিপীঠ কঙ্কালীতলায় পুজো দেন অনুব্রত মণ্ডল। সেখানেও সঙ্গে ছিলেন মেয়ে সুকন্যা। তারপর সড়কপথে কলকাতার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন তাঁরা। শক্তিগড়ে গাড়ি দাঁড়ালেও কোনও মিষ্টিই মুখে তোলেননি কেষ্ট। পুলিশের পাইলট কারের পাশে আরও দুটি গাড়ি ছিল কেষ্ট মণ্ডলের সঙ্গে। পাইলট কার –সহ মোট তিনটি গাড়ি ছিল কেষ্ট মণ্ডলের সফরসঙ্গী। গাড়ির চালকের বাঁদিকে ছিলেন তিনি। আর মেয়ে সুকন্যা ছিল পিছনের আসনে।