সংবাদদাতা, রামপুরহাট: খুব শীঘ্রই অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। রবিবার রামপুরহাটে পুরসভার কর্মচারী সংগঠনের বার্ষিক সম্মেলনে এসে তিনি বলেন, ‘কেষ্টদার সঙ্গে দেখা করব। তবে আজকালের মধ্যে নয়। কবে যাব এখনও ঠিক হয়নি।’ আগামী দিনে জেলা না কোর কমিটির বৈঠক হবে? এপ্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, জেলা কোর কমিটির অস্তিত্ব এখনও আছে। পরে কী হবে, কোথায় জোর দেওয়া হবে জানি না।
তিহার থেকে মুক্তি পেয়ে গত মঙ্গলবার বোলপুরে বাড়ি ফিরেছেন অনুব্রত মণ্ডল। ওইদিন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা ও সিউড়ির বিধায়ক তাঁর বাড়িতে গেলেও দেখা দেননি অনুব্রত। এতে রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন পড়ে যায়। যদিও পরদিন তাঁরা দু’জনই অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করেন। তবে জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখের অনুপস্থিতি জল্পনা বাড়িয়ে তুলেছিল। এরই মধ্যে একসঙ্গে চলার বার্তা দেন অনুব্রত। শনিবার কাজল শেখ বোলপুরে পার্টি অফিসে এসে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করে প্রায় ঘণ্টাখানেক কাটান। কাজলও বলেন, আগামী দিনে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে দেখা যাবে। খুব তাড়াতাড়ি কোর কমিটির বৈঠক ডাকা হবে। সেখানে সভাপতি হিসেবে অনুব্রত মণ্ডল উপস্থিত থাকবেন। রবিবার জেলায় আসেন সাংসদ শতাব্দী রায়। সাঁইথিয়া ও রামপুরহাটে দু’টি অনুষ্ঠানে যোগ দিলেও অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করতে না যাওয়ায় জল্পনা ছড়ায়। তবে সেই জল্পনায় জল ঢেলে শতাব্দী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করতে যাবেন। এদিন সম্মেলনে শতাব্দী বলেন, ইউনিয়ন মানে যে কোনও জায়গায় বাধা সৃষ্টি করব-এই ভাবনা যেন না আসে। আপনাদের অধিকারের জন্য লড়াই করবেন। কিন্তু সেই লড়াই যেন সবদিক ভেবে হয়।
সংগঠনের জেলা সভাপতি ত্রিদিব ভট্টাচার্য বলেন, কর্মচারীদের অনেকেই অফিসে তৃণমূলের ইউনিয়নে নাম লেখান। কিন্তু বাড়ি ফিরে এলাকায় সিপিএম, কংগ্রেস করছেন। এটা কিন্তু চলবে না। আপনারা যদি তৃণমূলের সংগঠন করেন, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীতি-আদর্শ মেনে দলের হয়ে কাজ করতে হবে। বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নাগরিকরা যাতে পুরসভায় এসে পরিষেবা না পেয়ে হয়রানির মুখে না পড়েন-সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সম্মেলনে পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন ভকত, দলের শহর সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।