• চলন্ত ট্রেনে লিফলেট বিলি ও মাইকিং করে জোরদার আন্দোলনে নামার ডাক
    বর্তমান | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, রঘুনাথপুর: আদ্রা ডিভিশনে লোকাল ট্রেনকে এক্সপ্রেস হিসেবে চালিয়ে ১০ টাকার জায়গায় ৩০ টাকা ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। সঠিক সময়ে লোকাল ট্রেনগুলি চলাচল করছে না। জয়চণ্ডী ও চিনপিনা ওভারব্রিজের অনুমোদন হওয়া সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত কাজ শুরু হয়নি। রেল যাত্রীরা নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এমনই সব অভিযোগ তুলে রবিবার চলন্ত লোকাল ট্রেনগুলিতে প্রচার চালানো হয়। এদিন আদ্রা ডিভিশন প্যাসেঞ্জার অ্যাসিস্ট্যান্স কমিটির তরফে প্রচার অভিযানটি চলে। তারা এনিয়ে আন্দোলন করে আসছে। প্রচারের পাশাপাশি যাত্রীদের হাতে লিফলেট দেওয়া হয়। আগামী দিনে আদ্রা ডিভিশনে রেল সংক্রান্ত অসুবিধায় আন্দোলনে শামিল হওয়ার জন্য রীতিমতো মাইকিং করে যাত্রীদের যোগদানের আহ্বান জানানো হয়।


    আদ্রা ডিভিশনে রেল পরিষেবা নিয়ে সাধারণ যাত্রীরা ক্ষুব্ধ। তাঁরা এনিয়ে রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে দৈনিক প্যাসেঞ্জার ও বিভিন্ন সংগঠন সাংসদ থেকে বিধায়ক, রেল আধিকারিক থেকে প্রশাসনের সর্বস্তরে অভিযোগ জানিয়েছেন। কিন্তু, তাতেও কাজ হচ্ছে না। তাই ওই সংগঠনের তরফে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেইমতো এদিন আদ্রা- আসানসোল শাখার জয়চণ্ডী পাহাড় স্টেশন থেকে মধুকুণ্ডা পর্যন্ত লোকাল ট্রেনগুলিতে প্রচার চালানো হয়।


    সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, ভোরের ৩টে ১৫ মিনিটের আদ্রা-আসানসোল স্পেশাল ট্রেনটি আগে সমস্ত স্টেশনে স্টপেজ দিত। ফলে আসানসোল গিয়ে কলকাতাগামী ট্রেন পাওয়া যেত। বর্তমানে ট্রেনটি সমস্ত স্টেশনে স্টপেজ দেয় না। ট্রেনটি আগের মতো যাতে সমস্ত স্টেশনে স্টপেজ দেয় তার দাবি জানানো হয়েছে। খড়্গপুর-আসানসোল মেমু প্যাসেঞ্জারের ভাড়া কমাতে হবে। এই ট্রেনটি আগের মতো সব স্টপেজে দাঁড়ালেও করোনার পর থেকে ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে। আসানসোল শাখার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন হল আসানসোল-বোকারো স্টিল সিটি মেমু প্যাসেঞ্জার। কোভিডের পর থেকে এখনও পর্যন্ত ট্রেনটির পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। 


    রাতে কোলফিল্ড ট্রেনে আসানসোল আসার পর আদ্রা আসার জন্য আর কোনও ট্রেন পাওয়া যায় না। তাই ওই ট্রেনের কানেক্টিং আসানসোল থেকে আদ্রা একটি ট্রেন চালানোর দাবি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি জয়চণ্ডী, চিনপিনা রেলগেটের উড়ালপুল, রামকানালি স্টেশনের আন্ডারপাস তৈরি করা, অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ট্রেনকে আদ্রা থেকে চালানো, পুরুলিয়া- বর্ধমান ট্রেনকে পুরনো সিডিউলে চালানোর দাবি জানানো হয়েছে। দাবিগুলি নিয়ে সংগঠন পুজোর পরেই বৃহত্তর আন্দোলনে নামছে।


    সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক কৌশিক সরকার, উপদেষ্টা বিনয় ভট্টাচার্য বলেন, এদিন প্রচারে যাত্রীদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পাওয়া গিয়েছে। পুজোর পরেই বিশাল সমাগমের মাধ্যমে ডিআরএমকে ঘেরাও করে আন্দোলন হবে।


     বাঁকুড়ার সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী বলেন, রেলের সমস্যা সংক্রান্ত অভিযোগ পাওয়ার পরেই বিষয়গুলি রেলকে জানানো হয়েছে। আগামী দিন কাজ না হলে আমরাও আন্দোলনে নামব।


    বিজেপি বিধায়ক কমলাকান্ত হাঁসদা বলেন, রেলের সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা দাবি জানিয়ে আসছি। বেশ কিছু সমস্যার সমাধান হয়েছে। বাকি সমস্যাগুলির আগামী দিন সমাধান হয়ে যাবে।


    আদ্রা ডিভিশনের ডিআরএম সুমিত নারুলা বলেন, আমাদের কাছে যে সব সমস্যা আসে, সেগুলি রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিই। রেলের ভাড়া কমানো, ওভারব্রিজ সংক্রান্ত সমস্যাও জানানো হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)